ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সংক্রমণে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

আবারও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে। একইসঙ্গে বাড়ছে প্রাণহানিও। গত একদিনে দেশটিতে ১২শ’র বেশি ভুক্তভোগী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে, আক্রান্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই সুস্থতা লাভ করেছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ হাজার ৫৫১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ২০৯ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ২৭১ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি প্রায় ৪১ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ২৮২ জন মানুষের।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৫ লাখ ৩৭ হাজারের অধিক মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৪ হাজার ৭০২ জনের।  

তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি।  

চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৪ লাখ ৩০ হাজারের অধিক মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ৬ হাজার ৯৩৭ জনে ঠেকেছে। 

আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২ লাখের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৬ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৭০ হাজার ৮৮০ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৪৩ হাজারের কাছাকাছি। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ জন।

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি