ভারতে কমেছে সংক্রমণ, মৃত্যু ৮০ হাজার ছাড়াল
প্রকাশিত : ১২:৫৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
বৈশ্বিক মহামারি করোনার বর্তমান প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে এবার কিছুটা কমেছে সংক্রমণ। তারপরও গত একদিনে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। তবে উল্টো চিত্র প্রাণহানিতে। যেখানে আগের দিনের ন্যায় নতুন করে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সংক্রমিত ও সুস্থতার হারে শীর্ষে মোদির দেশ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ হাজার ৮০৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিল ৯৩ হাজারের অধিক। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ২৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৫৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ২৯২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৭২ হাজারের বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৯ হাজার মানুষের।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৫ লাখ ৭৫ হাজারের অধিক মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭২ জন।
তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৮ হাজারের বেশি।
চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৪ লাখ ৬৭ হাজারের অধিক মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
উত্তর প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৯১ জন মানুষ।
আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭৭০ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯০ হাজার ৬১ জন।
এআই/এমবি
আরও পড়ুন