আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধে বহু হতাহত
প্রকাশিত : ১২:২৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে, কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধে উভয়পক্ষের আরও ২৬ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার
মূলত গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে আর্মেনিয়ান বাহিনী আজারবাইজানের আবাসিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সোমবারের খবরে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ান অধিকৃত নাগার্নো-কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নতুন মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে।
যুদ্ধের প্রথম দিনে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয় দুই পক্ষ থেকেই। দ্বিতীয় দিনে নতুন করে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন বলে জানায় কারাবাখ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার রাতে আরও নতুন করে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
আর্মেনিয়ার দাবি, আজারবাইজানই প্রথমে বিমান এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। আর আজারবাইজান বলছে, তারা আর্মেনিয়ার হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করেছে।
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনী, তা দ্বিতীয় দিনে গড়ালো।
সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আংশিক মার্শাল ল জারি করে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, এ যুদ্ধ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জার্মানি ও ফ্রান্স এই বৈঠকের অনুরোধ জানালেও এতে সমর্থন রয়েছে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সদস্য দেশ বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও এস্তোনিয়ার।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে রাশিয়া ও তুরস্কের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো জড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আর্মেনিয়ার সঙ্গে সামরিক জোট রয়েছে রাশিয়ার আর আজারবাইজানকে সমর্থন করছে তুরস্ক।
বিশ্বনেতারা আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার এ সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
এমবি//
আরও পড়ুন