ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ট্রাম্প-বাইডেন বিতর্কে নতুন ‘নিয়ম’র কথা ভাবছে বিতর্ক কমিশন 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৭, ১ অক্টোবর ২০২০

গত মঙ্গলবার বিতর্কে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন- রয়টার্স

গত মঙ্গলবার বিতর্কে অংশ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন- রয়টার্স

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারের বিতর্ককে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসের সব চেয়ে খারাপ বিতর্ক বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে। দুই প্রার্থীই বার বার অপর পক্ষের কথার উপরে কথা বলার চেষ্টা করেছেন এবং এই বিতর্কের সঞ্চালক ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়্যালেস নিয়ম না মানার জন্য এবং উভয় প্রার্থীকে প্রশ্নের উত্তর বিনা বাধায় দিতে না দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে ভৎসনা করেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

প্রেসিডেন্টের বিতর্ক সংক্রান্ত কমিশন বলেছে, মঙ্গলবারের বিতর্কের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ডেমক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বি জো বাইডেন আবার যখন বিতর্কে মিলিত হবেন, তার আগেই এই বিতর্কের কাঠামো আরও দৃঢ় করা হবে। 

ওহাইও রাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে এই বিশৃঙ্খল বিতর্কের পর বিতর্কের আয়োজক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন বলছে, বিতর্কের এই কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে যাতে করে সুশৃঙ্খলভাবে আলোচনা হতে পারে। ১৫ ও ২২ অক্টোবর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাম্প-বাইডেন বিতর্কের আগেই তারা শীঘ্রই কিছু নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করবে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যকার ঐ প্রথম বিতর্কের কোন কোন সমালোচক এ রকম পরামর্শ দিয়েছেন যে ট্রাম্প কিংবা বাইডেনের মাইক বন্ধ করা দেয়া উচিৎ যখন অপর পক্ষ কথা বলবেন।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ডুলুথ বিমান বন্দরে বুধবার সন্ধ্যায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে ট্রাম্প নিজেকে ঐ বিতর্কে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন এবং সঞ্চালকের সমালোচনা করে বলেন, ‘গত রাতে আমি দুই জনের সঙ্গে বিতর্ক করছিলাম বাইডেন এবং ওয়্যালেস।’ প্রেসিডেন্ট এ রকম কথাও বলেন, আগামী বিতর্কগুলোতে তার প্রতিপক্ষ হাজির নাও হতে পারেন। তবে ডেমক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রার্থী বাইডেন গতকাল বুধবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বলেন, আমি ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের অপেক্ষায় আছি। আগের রাতে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে বাইডেন জাতীয় অস্বস্তির বিষয় বলে উল্লেখ করেন।

ধৈর্যচ্যূত বাইডেনও সমালোচনার পাত্র হন যখন তিনি ট্রাম্পকে একজন ভাঁড় বলে অবজ্ঞা করেন এবং প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘চুপ করুন।’

গোটা দেশ জুড়ে জরিপে বাইডেন যদিও ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য, যার বেশির ভাগই রয়েছে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে, ঠিক করবে কোন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট হবার জন্য অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবেন।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি