চীনের সাহায্যে কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বানাচ্ছে পাকিস্তান
প্রকাশিত : ১৮:২৬, ৯ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৮:২৯, ৯ অক্টোবর ২০২০
সংগৃহীত
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতকে চাপে রাখতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে এ বার ‘অস্ত্র’ করছে চীন। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ (র)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র-সহ নানা সামরিক পরিকাঠামো বানাচ্ছে পাক সেনা।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, গত মাসে কেন্দ্রের কাছে ‘র’-এর তরফে ওই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লাসাডন্না ঢোক অঞ্চলে চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-র সহায়তায় ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বানানো হচ্ছে। বাঘ জেলায় মোতায়েন পাক ফৌজের একটি ব্রিগেডের সদর দফতরের অদূরের ওই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বানানোর কাজে ১৩০ জন পাক সেনা এবং জনা চল্লিশেক অসামরিক নির্মাণকর্মী জড়িত রয়েছেন বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।
‘র’-এর রিপোর্ট বলছে, লাসাডন্না ঢোকের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকবেন পিএলএ-র তিন অফিসার-সহ অন্তত ১০ জন সেনা। অধিকৃত কাশ্মীরের হট্টিয়ান বালা জেলার চকোঠী, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ঝিলম জেলার চিনারীতেও চীনা সহায়তায় একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি নির্মাণের কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে। ভারতীয় বায়ুসেনার সম্ভাব্য বিমানহানা ঠেকানোই এর উদ্দেশ্য বলে সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন।
লাদাখে চীনা ফৌজের অনুপ্রবেশ ঘিরে সঙ্ঘাতের আবহেই অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বালটিস্তানে পাক সেনার তৎপরতার খবর সামনে এসেছিল। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-র কাছে অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বালটিস্তানে অতিরিক্ত ২০ হাজার পাক সেনা মোতায়েনের সেই খবরের জেরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ‘র’-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জুন মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সামরিক সমন্বয় বাড়াতে বেজিংয়ে পিএলএ-র সদর দফতরে একজন উচ্চপদস্থ পাক সেনা অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জলসীমায় চীনা যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরে এসেছিল। জিয়াংওয়ে-২ নামে চীনা ফ্রিগেটটির অবস্থান গুজরাতের পোরবন্দর উপকূল থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর। জানুয়ারিতে ওই এলাকায় যৌথ মহড়াও চালিয়েছিল পাক ও চীনা নৌবাহিনী। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি
আরও পড়ুন