ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

নতুন মার্কিন ফার্স্টলেডি কে এই জিল বাইডেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২১, ১০ নভেম্বর ২০২০

জো বাইডেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসার অপেক্ষায় আছেন। তার স্ত্রী জিল জ্যাকবস (জিল বাইডেন)। তিনি হচ্ছেন নতুন মার্কিন ফার্স্টলেডি। মাস কয়েক আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির কনভেনশনে স্ত্রী সম্পর্কে জো বাইডেন বলেছিলেন, দেশবাসীকে বলছি, আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকটির কথা ভাবুন, যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার মতো আপনাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্টলেডি হবেন।

১৯৫১ সালের জুনে নিউ জার্সিতে জন্ম নেন জিল জ্যাকবস। পাঁচ বোনের মধ্যে বড় জিলের বেড়ে ওঠা ফিলাডেলফিয়ার উইলো গ্রোভ শহরে। প্রথমে সাবেক ফুটবলার বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। অপরদিকে, ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ও এক বছরের কন্যা সন্তানকে হারান জো বাইডেন। এর বছর তিনেক পর সেই সময়ের সিনেটর বাইডেনের সঙ্গে তার ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বাইডেন ও জিলের বিয়ে হয়। ১৯৮২ সালে জন্ম হয় তাদের মেয়ে অ্যাশলির। 

৬৯ বছর বয়সী জিল কয়েক দশক শিক্ষকতা করছেন। দুই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর জিল ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তার স্বামী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন জিল নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় স্বভাবতই তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেন দেশটির নতুন ফার্স্টলেডি হচ্ছেন। যিনি একজন শিক্ষিকা। স্বামীর জয়ের পর তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, হোয়াইট হাউজের ব্যস্ততা সামলে তিনি শিক্ষকতা ‘চালিয়ে যাবেন’।

তাই যদি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩১ বছরের ইতিহাসে প্রথম ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিরল একটি রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ফার্স্ট লেডিদের নানা ধরনের কাজ করতে হয়। সেসব সামলে অন্য কাজ করা কঠিন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফার্স্ট লেডি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এভাবে অন্য পেশায় থাকেননি।

জো বাইডেন যেদিন মনোনয়ন নেন, সেদিন কলেজ থেকেই অনলাইনে বিবৃতি দেন জিল। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক অভিবাসী এবং শরণার্থীকে পড়াই। তাদের গল্প আমি ভালোবাসি। আমরা হোয়াইট হাউজে গেলেও কাজ ছাড়ছি না।’

১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রীকে হারানোর তিন বছর পর বাইডেনের ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় জিলের। ওই সময় সিনেটর ছিলেন বাইডেন আর জিল তখনও কলেজছাত্রী। জিলকে বিয়ের জন্য পাঁচবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাইডেন।

শেষ পর্যন্ত ১৯৭৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বিয়ে হয় বাইডেন ও জিলের। ১৯৮২ সালে এই দম্পতির কন্যা সন্তান অ্যাশলির জন্ম হয়।

৬৯ বছর বয়সী জিল কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর এই নারী ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন।

১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামা আমলে তার স্বামী যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন তিনি নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি