ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

যারা টিকা নেবে না তাদের তালিকা করবে স্পেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো স্পেন। ইউরোপের এই দেশটিতে যারা করোনাভাইরাসের টিকা নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে তাদের নাম নিবন্ধন করা হবে।

স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই তথ্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সাথে শেয়ার করবে। তবে এই তালিকা সাধারণ জনগণ এবং চাকরিদাতাদের কাছে উন্মুক্ত করা হবে না।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) লা সেক্সটা টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী সালভাদর ইলা জোর দিয়ে বলেন, টিকা দান বাধ্যতামূলক না। কিন্তু যারা নিবেন না তাদের নাম নিবন্ধন করা হবে। আমরা আমাদের ইউরোপিয়ান পার্টনারের সাথে শেয়ার করবো যে এইসব মানুষদের টিকা নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ করেনি।

করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশ। দেশটিতে এখন ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু করেছে। গত সপ্তাহেই এই টিকা ইইউ সদস্য দেশগুলোর জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী সালভাদর ইলা বলেন, ‘এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য কোন তথ্য-প্রমাণ না। সবটাই করা হবে তথ্য রক্ষার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে। যাদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল এবং তারা সেটা যে কোন কারণেই হোক ফিরিয়ে দিয়েছে সেটা নিবন্ধনে উল্লেখ থাকবে।’

সবশেষ হিসেব অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ২৮ শতাংশ নাগরিকরা টিকা নিতে চান না। নভেম্বরে এই অনুপাত ছিল ৪৭%।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা টিকা নিতে চান তাদের সাথে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবে। যারা টিকা নিতে চান না আমরা মনে করি এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু তারপরেও এটা তাদের অধিকার। আমরা এই বিভ্রান্তি দুর করার চেষ্টা করছি। টিকা দেয়ার ফলে জীবন রক্ষা হবে।’

গতকাল সোমবারেই স্পেনে কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়ার সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁয়েছে। মহামারির সময়ে দেশটি ১৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে বলে নিবন্ধন করে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় স্পেনে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে কারফিউ চালু রয়েছে। যেটা চলবে আগামী মে মাসের শুরু পর্যন্ত। অনেক স্থানে মানুষজনকে শুধুমাত্র কাজ করতে, ওষুধ কিনতে এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের যত্ন নেয়ার জন্য বের হতে দেয়া হচ্ছে।

দেশটির প্রশাসন বলছে, আঞ্চলিক নেতারা কারফিউর সময় পরিবর্তন করতে পারবেন, এমনকি সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি