ভাসানচরের পথে আরও ১৭৮০ রোহিঙ্গা
প্রকাশিত : ১৩:৪৪, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
উন্নত জীবনের আশায় তৃতীয় দফায় ভাসানচরের পথে রয়েছে আরও ১ হাজার ৭৮০ জন রোহিঙ্গা। চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ৪টি জাহাজে করে সেখানে নেয়া হচ্ছে তাদের।
নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে তাদের জাহাজে তোলা হয়। দুপুর নাগাদ তারা ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রানজিট ক্যাম্পে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়।
একই দিন উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে কয়েক ধাপে ৩৫টি বাসে চেপে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয় রোহিঙ্গারা।
গত ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জনের দ্বিতীয় দলটিকে ভাসানচরে নেওয়ার ঠিক এক মাস পরে তৃতীয় দলটি সেখানে যাচ্ছে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন ভাসানচরে পৌঁছায়। সরকারি হিসেবে ভাসানচরে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের ব্যবস্থা করা আছে।
এদিকে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা ভাসানচরমুখী হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তবে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের একমাত্র স্থায়ী সমাধান প্রত্যাবসন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে উজাড় হয়েছে স্থানীয় বন, পাহাড় ও কৃষিজমি। এখনও স্বদেশে প্রত্যাবাসন না হওয়ায় ৩ বছরের বেশি সময় ধরে এসব রোহিঙ্গার বসবাসে সীমাহীন দুর্ভোগে কক্সবাজারের স্থানীয়রা। অনেকেই হারিয়েছে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও আয়ের উৎস।
কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, তারা (রোহিঙ্গা) বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে।
তবে উখিয়া ও টেকনাফে স্থানীয়দের ওপর চাপ কমাতে কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এখন স্বেচ্ছায় ভাসানচরমুখী হচ্ছে রোহিঙ্গারা।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন