মিয়ানমারের অভ্যুত্থান নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশকে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় সামরিক নেতারা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসাও পড়বে। খবর বিবিসি বাংলা’র।
এছাড়া এই পদক্ষেপের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমার সরকারের এক বিলিয়ন তহবিলেও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হাত দেয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হল।
গত মাসে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো কোন দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন জো বাইডেন। তার প্রশাসন চলতি সপ্তাহেই নিষেধাজ্ঞার আওতার প্রথম দিকে মিয়ানমারের কারা কারা থাকবেন তা নির্ধারণ করবে।
এই নিষেধাজ্ঞা এমন সময়ে এলো যখন সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের রাজধানীতে বিক্ষোভ করার সময় এক নারী মাথায় গুলি চালানো হয়। ওই নারী এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের জলকামান, রাবার বুলেট এবং গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার সময় আহত হন মিয়া ঠয়ে ঠয়ে খাইং নামে ওই নারী।
দরকার হলে আরও পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বার্মার মানুষ তাদের আওয়াজ তুলছে এবং পুরো বিশ্ব তা দেখছে। বিক্ষোভ বাড়ার সাথে সাথে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চাকারীদের উপর সহিংসতা বাড়াটা অগ্রহণযোগ্য এবং আমরা এটি চ্যালেঞ্জ করেই যাবো।’
জো বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা রপ্তানিতেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছি। মার্কিন যেসব সম্পদ বার্মিজ সরকারকে সুবিধা দেয় সেগুলো জব্দ করবো, তবে স্বাস্থ্য সেবা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং যারা বার্মার জনগণকে সরাসরি সহায়তা করে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’
সম্প্রতি দেশটিতে গণজমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং রাতে কারফিউ জারি থাকলেও গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। পুলিশ শক্তি ব্যবহারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার পর আরও গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এখনও কারোর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
চলমান বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যেই সামরিক বাহিনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করছে।
সম্প্রতি যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশনে কর্মরত ব্যক্তি যারা সামরিক বাহিনীর আনা ভোট জালিয়াতির অভিযোগের পক্ষে সমর্থন জানাতে অসম্মতি জানিয়েছিল।
অং সান সুচিকে গৃহবন্দী করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া এনএলডির শীর্ষ নেতাদেরকে আটক করা হয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন