আন্দামান সাগরে রোহিঙ্গা ভর্তি নৌযান, উদ্ধারের আহ্বান
প্রকাশিত : ১৫:০১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বেশ কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী ভর্তি একটি নৌযান আন্দামান সাগরে আটকা পরেছে। এসব রোহিঙ্গাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। খবর বিবিসি বাংলা’র।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের আহ্বান জানায় ইউএনএইচসিআর।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌযানটিতে কতজন শরণার্থী রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা বলছেন, নৌকাটির সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, নৌযানটিতে আটকে পড়া শরণার্থীদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং তারা মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কয়েক জন প্রাণ হারাতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
নৌযানটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগেই খাবার এবং পানি শেষ হয়ে গেছে। সপ্তাহ খানেক আগে নৌযানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।
তবে নৌযানটির অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআর-এর কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্টাবারফিল্ড জানান, সর্বশেষ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে ওই নৌযানটির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। নৌযানে থাকা শরণার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার।
তিনি আরও জানান, ‘তবে আন্দামান সাগরে নৌযানটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে সুনির্দিষ্ট কোন দেশের সাথে যোগাযোগ করা না হলেও ওই এলাকার পরিচালিত সব নৌ-কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই সাথে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলসীমায় নৌযানটিকে খুঁজতে ও পাওয়া গেলে তাদেরকে উদ্ধার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার কোস্ট গার্ড থেকে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে যে, এ ধরনের কোন ঘটনার কথা তারা এখনও জানেন না। এদিকে ১০ দিন আগে টেকনাফ থেকে কোন নৌযান সাগরে যাত্রা করার বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও জানিয়েছেন যে, এ ধরনের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।
ইউএনএইচসিআর-এর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ঝুঁকিপূর্ণ এই সাগর যাত্রা অব্যাহত থাকার বিষয়টি অনুসন্ধান করে তাদের উদ্ধার এবং ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ও আঞ্চলিক সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন