যুক্তরাষ্ট্রে ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা : ব্যাপক বিক্ষোভ, কারফিউ জারি
প্রকাশিত : ১০:১৫, ১৩ এপ্রিল ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের আবার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মিনিয়াপোলিস শহরের কাছে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ডন্টে রাইট (২০)কে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং ব্রুকলিন সেন্টার শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ বিভাগ জানাচ্ছে, রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ডন্টে রাইট ট্রাফিক আইন অমান্য করার পর পুলিশ তার গাড়িকে থামায়। এ সময় পুলিশ জানতে পারে তার নামে আগে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। যখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে চায় তখন তিনি আবার গাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েন। এসময় পুলিশ তার ওপর গুলি চালায়।
এরপরও ডন্টে রাইট গাড়ি চালিয়ে কিছু দূর গিয়ে আরেকটি গাড়ির সাথে ধাক্কা মারেন। এরপর ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার সাথে থাকা একজন যাত্রীর গায়েও আঘাত লেগেছে। তবে তার প্রাণ সঙ্কটের অবস্থার সৃষ্টি হয়নি।
এই ঘটনার পর ব্রুকলিন সেন্টারের পুলিশ সদর দফতরের বাইরে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ডন্টে রাইটের নামে স্লোগান দিতে থাকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এরপর দাঙ্গা পুলিশ রাস্তায় নামলে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং জনতা পুলিশের দুটি গাড়ির ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রতিবাদকারীরা সে সময় ডন্টে রাইটের স্মরণে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় কিছু দোকানপাটে লুটপাট শুরু হলে মেয়র শহরে কারফিউ জারি করেন।
কারফিউ জারির পর বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন ব্রুকলিন সেন্টারের মেয়র।
বিবিসির সাংবাদিক স্যামান্থা গ্র্যানভিল ব্রুকলিন সেন্টার থেকে জানিয়েছেন, বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সদস্যরা সদর দফতরের বাইরে ব্যারিকেড তৈরি করেন। এ সময় তাদের পরনে ছিল দাঙ্গা পুলিশের পোশাক। তবে শত শত বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টায় একটু একটু করে এগুতে তাকে এবং স্লোগান দিতে থাকে ‘বিচার না পেলে আমরা শান্তিও পাব না।’
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেন ডন্টে রাইটের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবও।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে এক পুলিশ অফিসারের বিচার নিয়ে মিনিয়াপোলিস এমনিতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে আছে। এরই মধ্যে আবার ঘটলো পুলিশ কর্তৃক আরেকটি হত্যার ঘটনা।
মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার প্রধান আসামী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চেভিনের বিচার গত দু’সপ্তাহ ধরে চলছে। এই বিচার কার্যক্রম আরও এক মাস ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রায় ঘোষণার সময় আরও গোলযোগ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশ কর্মকর্তা চেভিন নয় মিনিট ধরে ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু চেপে বসেছিলেন। এই দৃশ্য দেখার পর বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন