কদরের রাতেও ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা, আহত ৮০
প্রকাশিত : ১০:০৪, ৯ মে ২০২১
শুক্রবার জুমাতুল বিদার দিনে হামলার পর শনিবার পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতেও ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪ জন গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেম শহরের বাইরে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যখন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়েন।
এর আগে গত শুক্রবার (৭ মে) ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে ইহুদিবাদী সেনাদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০৫ জন ফিলিস্তিনি।
মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসায় ইসরায়েলি সেনাদের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, ইরানসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ।
এ ঘটনার জন্য ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সরাসরি ইসরাইলকে দায়ী করে এই ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শুক্রবারের এই হামলা কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব এবং উস্কানিমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবযাদে বলেছেন, পবিত্র কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইহুদিবাদী বাহিনীর বর্বর হামলার কঠোর নিন্দা জানায় ইরান।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই হামলার মাধ্যমে ইসরাইল বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন অবসানের জন্য কাতারের মন্ত্রণালয় দ্রুত আন্তর্জাতিক সম্পদ্রায়কে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কুয়েত এ ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই হামলা মুসলমানদের অনুভূতিতে চরম আঘাত দিয়েছে এবং এটি মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন। একইভাবে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন