ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কলকাতায় প্রথম মৃত্যু
প্রকাশিত : ১১:১৬, ২২ মে ২০২১
কলকাতায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে শম্পা চক্রবর্তী (৩২) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় একজনের মৃত্যু হলো।
করোনা আক্রান্ত হরিদেবপুরের বাসিন্দা ওই নারীকে প্রতি মিনিটে প্রায় ১২ লিটার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। আচমকাই একদিন দেখা যায় শম্পা দেবীর নাকের উপরে কালো ছোপ। সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। পরীক্ষা করতেই ধরা পরে সত্যিটা।
বুধবার চিকিৎসকরা জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। করোনার চিকিৎসার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসাও করা হয় তার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ ‘অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি’ দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার ভোরের দিকে মারা যান তিনি। তার সাইনাস, চোয়াল, চোখ ও মস্তিষ্ক ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে।
জানা গেছে, শম্পা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। শম্পার স্বামী রাজু চক্রবর্তী একটি দোকানে কাজ করেন। তাদের ১৩ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়ছেন রাজু।
ভারত জুড়ে করোনা রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গেও এ রকম আরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও সুস্থ মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসাবে চিহ্নিত করেছে ভারত সরকার। এই রোগ সংক্রান্ত নির্দেশিকাও রাজ্যগুলোকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. শান্তুনু পাঁজার জানান, শরীর দুর্বল হলে মূলত বাসা বাঁধে এই ছত্রাক। করোনা রোগীরা বেশি দিন আইসিইউতে থাকলে, কিংবা তাদের ওপরে স্টেরয়েডের ব্যবহার বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এমন ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ঢুকে পড়ে শরীরে। যেমনটা হয়েছিল শম্পা দেবীরও।
এতদিন রাজস্থান, মুম্বাই, তেলেঙ্গানা থেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের খবর আসছিল। এই ছত্রাকের দ্বারা সব থেকে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে মহারাষ্ট্রে। ইতোমধ্যেই সেখানে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৫০০ মানুষ। করোনার মতোই এই রোগের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা ওয়ার্ড।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম।
এএইচ/
আরও পড়ুন