ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানে দু’ট্রেনের সংঘর্ষে মৃত্যু বেড়ে ৫১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৩, ৮ জুন ২০২১ | আপডেট: ১০:৫০, ৮ জুন ২০২১

ট্রেন দুর্ঘটনার চিত্র

ট্রেন দুর্ঘটনার চিত্র

পাকিস্তানের দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে একই লাইনের উপরে দু’টি যাত্রিবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে, আহত শতাধিক। সোমবার (৭ জুন) ভোরে সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার রেতি ও ধারকি স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে যায়, যা এখনও চলছে। তবে উদ্ধারকাজ পুরো শেষ হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।

দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে করাচি থেকে সরগোদাগামী মিল্লাত এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি নিজের নির্দিষ্ট গতিপথ থেকে লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে নেমে যায়। সে সময় বিপরীত দিক থেকে আসছিল রাওয়ালপিন্ডি থেকে করাচিগামী স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিল্লাত এক্সপ্রেসের ওই বগিগুলোর সঙ্গে সৈয়দ এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। তার ফলেই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

সংঘর্ষের তীব্রতায় অন্তত ছ’টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসীরাই প্রথম দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন বলে খবরে প্রকাশ।

ঘটনার সময় দুই ট্রেনের মোট ১২শ যাত্রীর বেশিরভাগই ঘুমোচ্ছিলেন। মিল্লাত এক্সপ্রেসের যাত্রী আখতার রাজপুত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ট্রেনটা যখন অন্য লাইনে নেমে গেল, তখন আমরা মুখ থুবড়ে পড়লেও বিশেষ কিছু হয়নি। কিন্তু তার পরেই অপর ট্রেনটা এসে ধাক্কা মারলে মরতে বসেছিলাম। আমার যখন জ্ঞান ফিরল, তখন চারপাশে শুধু লাশ দেখতে পেয়েছি।’

ধারকির পুলিশ কর্মকর্তা উমর তুফাইল জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও রেলের কর্মচারীও রয়েছে। আর আহতদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, মিল্লাত এক্সপ্রেসের একটি বগি এখনও সৈয়দ এক্সপ্রেসের মূল ইঞ্জিনের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানা গেছে। ফলে সেখান থেকে এখনও কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি।

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ভাঙাচোরা একটি বগির ভেতরে আটকে থাকা এক ব্যক্তিকে আইভি ড্রিপ দিয়ে শুশ্রূষা করছেন উদ্ধারকারীরা।

এই দুর্ঘটনায় মর্মাহত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শোক প্রকাশ করে ঘটনার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী শেখ রশিদ জানিয়েছেন, যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা ১৮৮০ সালে তৈরি। ফলে অবিলম্বে সেটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের রহিমিয়ার খান জেলার কাছে একটি চলন্ত ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটে ৭০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল এবং পরে কর্মকর্তারা শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লাগে বলে দোষ চাপায়। সূত্র- আনাদোলু।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি