পানশিরে তালেবানের হামলায় ইরানের কঠোর নিন্দা
প্রকাশিত : ২১:৫২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
আফগানিস্তানের পানশির উপত্যকায় তালেবানের হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এ ছাড়া তালেবানের পানশির দখল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার আইন অনুযায়ী ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছে দেশটি।
গতকাল সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালেয়র মুখপাত্র সায়্যিদ খতিবজাদেহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পানশিরের ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক সমাধান নেই। এ ছাড়া পানশির দখল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার অনুযায়ী কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তালেবান দাবি করেছে তারা আফগান প্রদেশ পানশির দখল করেছে। ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলসহ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিলেও কেবল তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল পানশির।
তেহরান টাইমস জানিয়েছে, হাজারো তালেবান যোদ্ধা রাতারাতি পানশিরের আটটি জেলা দখল নিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
খতিবজাদেহ বলেন, ‘পানশিরের ঘটনাগুলো উদ্বেগজনক। এখানে তালেবানের হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।’
১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পর থেকে পানশিরই একমাত্র প্রদেশ হিসেবে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়ছিল। প্রয়াত আফগান প্রাক্তন গেরিলা কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসউদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় তালেবানের বিরুদ্ধে। গত চার দিনে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই ব্যাপক হতাহতের দাবি করেছে।
আহমদ মাসউদ ও সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের নেতৃত্বে জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটি পানশির। গত রোববার মাসউদ জানান, তালেবান পানশির ত্যাগ করলে তিনি যুদ্ধ বিরতি ও আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
এদিকে রোববার তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষে পানশির প্রতিরোধ ফ্রন্টের মুখপাত্র ফাহিম দাশতি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় জড়িত সাবেক সরকারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর ভাগ্নেও ছিলেন।
ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খতিবজাদেহ বলেন, ‘আফগান নেতাদের মৃত্যু বড় শোকের বিষয়। কোনো পক্ষকেই ভ্রাতৃহত্যার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। তালেবানের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা উচিত।’
খতিবজাদেহ আরও বলেন, ‘পানশিরের জনগণকে অনাহারে রাখা এবং তাদের পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা উদ্বেগজনক ও দুঃখের বিষয়।’ সূত্র: এএনআই
এসি
আরও পড়ুন