বিজয়ের কৃতিত্বের দাবিতে তালেবানে বিভক্তি
প্রকাশিত : ১০:৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১০:৪১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
মোল্লা আবদুল গনি বড়দার
দুই দশক পর ক্ষমতায় আসতে না আসতেই, নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবান নেতাদের মধ্যে বিভক্তির গুঞ্জন উঠেছে।
তালেবান জৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, নতুন সরকারের কাঠামো কেমন হবে তা নিয়ে বড় ধরনের বিরোধ শুরু হয়েছে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনে।
সূত্রটি জানিয়েছে, তালেবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বড়দারের সাথে তর্কে জড়িয়েছিলেন নতুন মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিল উর রহমান হাক্কানী। গেল সপ্তাহে এই কথা কাটাকাটির ঘটনায়, এক পর্যায়ে দুজনেই বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন বলেও জানা যায়।
জানা গেছে, বড়দার মনে করেন সরকার গঠনে কূটনীতির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। আর এজন্য কূটনৈতিক নেতাদেরই প্রাধান্য দেয়া দরকার। অপরদিকে হাক্কানী বলছেন, যুদ্ধ দিয়ে এসেছে যে জয়, সেখানে যোদ্ধাদেরই প্রাধান্য প্রয়োজন।
বড়দারই প্রথম তালেবান নেতা যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সরাসরি কথা বলার ক্ষমতা রাখেন। অপরদিকে যোদ্ধা হাক্কানী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শুধুমাত্র জঙ্গি নেতা হিসাবেই পরিচিত। তাই তাদের মতাদর্শের পার্থক্যের ভিত্তিতে বিভক্তি এসেছে তালেবানে। যা সরাসরি প্রভাব ফেলছে নতুন সরকার গঠনে।
এই বাকবিতণ্ডার পর থেকেই প্রকাশ্যে নেই বড়দার। অপারদিকে গেল এক মাস ধরেই অনুপস্থিত আরেক তালেবান সর্বোচ্চ নেতা এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
দুই শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে আফগান নাগরিকদের মনে। বড়দার এবং আখুন্দজাদা বেঁচে আছেন কিনা এনিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
তবে তালেবানের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে কাবুল ছেড়ে বর্তমানে কান্দাহার শহরে অবস্থান করছেন বড়দার। সোমবার তিনি ভালো আছেন জানিয়ে একটি অডিও বার্তাও দিয়েছেন, যা তালেবানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। যদিও এই রেকর্ডিং এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি, যেকারণে সাধারণ মানুষের সন্দেহ কটেনি এখনও।
সূত্র : বিবিসি
এসবি/ এসএ/
আরও পড়ুন