বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবাসহ সম্রাজ্ঞীর পচন ধরা দেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ১৯:২১, ২ অক্টোবর ২০২১
বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্রাজ্ঞী
একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল দম্পতি ও তাঁদের একমাত্র কন্যা সম্রাজ্ঞীর পচন ধরা দেহ। শনিবার (২ অক্টোবর) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াস্থ লিলুয়ার বামুনগাছিয়ায়। ইতোমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ‘স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বামুনগাছিয়ার একটি বাড়ির দোতলার ঘরে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ দাস। পেশায় ব্যবসায়ী অভিজিতের পরিবারের কাউকেই গত কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছিলেন না তারা। শনিবার সকালে তাঁদের ঘর থেকে পঁচা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। তারপরেই পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশকর্মীরা এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় অভিজিতের দেহ। আর মেঝেতে পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী দেবযানী ও কন্যা সম্রাজ্ঞীর দেহ।
প্রতিবেশীরা আরো জানিয়েছেন, এলাকায় বেশ জনপ্রিয়ই ছিল অভিজিতের পরিবার। তাদের মেয়ে সম্রাজ্ঞী নামী একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বেশ সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। কিন্তু কেন তারা এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা বুঝে আসছে না কারোই।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। দেহগুলো উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তারা। পুলিশের ধারণা, ‘স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।’
কিন্তু, ঠিক কী কারণে স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করে অভিজিৎ নিজে আত্মঘাতী হলেন- তা জানতে আত্মীয় প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছেন সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//
আরও পড়ুন