যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় ৭ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ৩ অক্টোবর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৪ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭ জন। জনস হপকিনন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যানে এ কথা জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা রাজধানী ওয়াশিংটনের জনসংখ্যার প্রায় সমান।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানায়, দৈনিক গড়ে ১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে জনসংখ্যার ৫৫.৭ শতাংশের পুরোপুরি টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।
মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। যা ব্রাজিল এবং উচ্চ সংক্রমণের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের মুখোমুখি হওয়া ভারতের চেয়েও অনেক বেশি।
বিশব্যাপী করোনাভাইরাসের ঢেউ গত আগস্টের শেষদিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল, এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডিসেম্বরে মার্কিন কর্তৃপক্ষ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছিল, যা এপ্রিলে শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছায়। কখনো কখনো দৈনিক ৪ মিলিয়নের বেশি টিকা প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে টিকাদান কার্যক্রম যথেষ্ট ধীরগতির। সাম্প্রতিক সময়ে মৃত্যুবরণকারীদের সিংহভাগই টিকা নেয়নি বলেও স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত সাড়ে তিন মাসে যারা মারা গেছে, তাদের সিংহভাগই আমেরিকার দক্ষিণের স্টেটসমূহের বাসিন্দা ছিলেন। তারা টিকা নিতে এখনো অনীহা প্রকাশ করছেন। ফ্লোরিডা, মিসিসিপি, লুইজিয়ানা এবং আরকানসাস স্টেটে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্যবিধি মানা দেশটির বেশিরভাগ অংশে একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা আমেরিকানদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছে। কয়েকজন রিপাবলিকান গভর্নর যেমন টেক্সাস এবং ফ্লোরিডায় ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে তাদের রাজ্যে মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা রহিত করতে চেয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন