প্রথমবার কাতারের নির্বাচনে কেমন করলেন নারী প্রার্থীরা
প্রকাশিত : ১৮:৫২, ৩ অক্টোবর ২০২১
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। শনিবার প্রথম আইসভার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন মহিলা প্রার্থীরাও। সংখ্যা কম হলেও এই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। যদিও নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে দেখা গেছে কোনও মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি শুরা কাউন্সিলে।
শনিবারের নির্বাচনে কাতারের শুরা কাউন্সিলে ৩০ জন পুরুষ নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৫ সদস্যের শুরা কাউন্সিলে ৩০ জন নির্বাচিত হয়েছেন বাকি ১৫ জনকে সরাসরি শুরা কাউন্সিলে নিযুক্ত করবেন কাতারের আমির। অনেকেই অপেক্ষা করছেন আমিরের নির্বাচনের। আশা করা হচ্ছে আমিরের নির্বাচনে মহিলারা সুযোগ পাবেন।
৩০টি আসনের নির্বাচনে প্রার্থী হন ২৮৪ জন। এর মধ্যে মাত্র ২৮ জন মহিলা প্রার্থী ছিলেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৬৩.৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন নির্বাচনে। কাতারে মহিলা নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে একজন মহিলা মুখপাত্র রয়েছেন।
এর আগে শনিবার ভোটের দিন শিশুতোষ বইয়ের নারী লেখক মুনিরা বলেছেন, ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে, আমি মনে করি এটি কাতারের নতুন অধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নারীরা দাঁড়ানোয় আমি খুবই খুশি।
মারখিয়া জেলার প্রার্থী খালিদ আলমুতাওয়াহ বলেছেন, ‘এটি আমার জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। এখানে থাকা এবং লোকদের সঙ্গে কথা বলা।’
একই জেলার আরেক প্রার্থী সাবান আল জাসিম বলেন, ‘এই দিনের শেষে কাতারি জনগণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশ হতে চলেছে।’
বিশ্বকাপ আয়োজন কমিটির পাশাপাশি চারুকলা, চিকিৎসা, আইন এবং ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নারীরা। কিন্তু মার্চ মাসে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কাতারকে তার নারী জনগোষ্ঠীর জীবনকে প্রচ্ছন্ন "অভিভাবকত্ব" নিয়মের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ করার দায়ে অভিযুক্ত করে। এর ফলে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য পুরুষের অনুমোদন নিতে হয়।
রক্ষণশীল মুসলিম গাল্ফ রাষ্ট্র কাতারের সংবিধান "সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ" প্রদান করে। শুরাকে আইন প্রণয়নের, বাজেট অনুমোদনের এবং মন্ত্রীদের প্রত্যাহার করার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু সর্বশক্তিমান আমিরের ভেটো প্রয়োগের অধিকার থাকবে।
এসি
আরও পড়ুন