‘বিশ্বভারতীতে নেশাখোর, রবীন্দ্রনাথ থাকলে সুইসাইড করতেন’
প্রকাশিত : ১১:০৯, ৬ অক্টোবর ২০২১
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিতর্ক যেনো শেষই হচ্ছে না! কখনও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে, আবার কখনও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন নিয়ে। এবার নতুন বিতর্ক যোগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মেলার মাঠে দেয়াল তোলা থেকে ছাত্র–অধ্যাপককে বরখাস্ত করা নিয়ে বিতর্ক ছিলই। এবার সেখানের ছাত্রছাত্রীরা নেশা করছেন বলে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অনুব্রত।
অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে- ঠিক কী ঘটেছে বিশ্বভারতীতে? মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকদের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তিনি বলেন, ‘মেয়েকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। তবে এখন গুরুতর অভিযোগ পাচ্ছি বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীতে প্রচুর নেশাখোর হয়ে গিয়েছে। পাতা নাকি বলে, সেসব খাচ্ছে ছেলে–মেয়েরা। দুর্ভাগ্য আমাদের। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে মনে হয় সুইসাইড করতেন।’
এই মন্তব্য করার পর তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অধ্যাপকদের একাংশ মুখে কিছু না বললেও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও এই কথায় ভিতরে ভিতরে ফুঁসতে শুরু করেছেন। এই ঘটনা কতটা সত্য, তা নিয়ে বিশ্বভারতীর অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা। এমনকী বিষয়টির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। যা এই মুহূর্তে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নিয়ে বিতর্ক তুলেছিলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এই মেডিক্যাল কলেজ আমার স্বপ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি একটি মেডিক্যাল কলেজের দাবি করেছিলাম। তাই ফুলপুরে তৈরি হয় একটি মেডিক্যাল কলেজ। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তা পূর্ণ হয়েছে। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
এসএ/
আরও পড়ুন