পৃথিবী রক্ষায় কী করল ভারত ও চীন?
প্রকাশিত : ১১:৫৩, ২ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:৫৫, ২ নভেম্বর ২০২১
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে আগেই। লক্ষ্যে পৌঁছাতেই মূলত জলবায়ু সম্মেলনে এক হয়েছেন বিশ্বনেতারা। তবে এই সম্মেলন থেকে ভারত এবং চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনেকটিই হাতাশাজনক।
জলবায়ু সম্মেলনের শুরু থেকেই সবার চোখ রয়েছে কী ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রতিনিধি দেশ গুলো। বিশেষ করে অতিরিক্ত কার্বন নি:সরণকারী দেশগুলোর উদ্যোগ কী হবে সেদিকে।
তবে এরইমধ্যে হতাশাজনক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন ও ভারত। যদিও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্যতম প্রধান দেশ এই দুটি।
সোমবার সম্মেলনে অংশ নিয়ে এক বক্তব্যে ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুত দিয়েছে ভারত। যা কিনা লক্ষ্যের চেয়ে ২০ বছর পিছিয়ে।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং তার বক্তব্যে বলেছেন, ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনবে দেশটি।
এ জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করবে চীন।
এ দিকে ২০৩০ সালের মধ্যে অ-জীবাশ্ম শক্তির উৎপাদন ৫০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
যদিও ভারত ও চীনের এই প্রতিশ্রুতি জলবায়ু নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে খুব একটা সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে না আনা গেলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়তেই থাকবে, যা থেকে বাঁচতে পারবেনা কেউই। তাই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে আসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন, দ্য গার্ডিয়ান
এসবি
আরও পড়ুন