ইথিওপিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি
প্রকাশিত : ০৯:০৪, ৩ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৯:০৫, ৩ নভেম্বর ২০২১
ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখলে অগ্রসর হতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। এ জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির সরকার টাইগ্রে বিদ্রোহীদের অভিযান ঠেকাতে এই জরুরি অবস্থা জারি করে।
এর আগে, টাইগ্রে বিদ্রোহীরা জানান, তারা ইথিওপিয়ার উত্তরের আরও কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এবং এখন রাজধানী আদ্দিস আবাবার পথে আগানোর চিন্ত করছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দরিদ্র দেশ ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহীগোষ্ঠী টাইগ্রে পিউপিল’স লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে এরইমধ্যে দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
এই আহ্বানের দু’দিন পর দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জরুরি অবস্থা জারির খবর প্রকাশ করল।
জরুরি অবস্থার কারণে এখন দেশটির রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন অনেকটাই অচল হয়ে পড়েছে।
সামরিক বাহিনী যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেসব এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। ঘর থেকে বের হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সবাইকে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি তল্লাশিও চালানো হচ্ছে। এবং এ সময় বিদ্রোহী সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
রাজধানীর বাসিন্দাদের নিজের অস্ত্র নিবন্ধন এবং তাদের বসবাসের এলাকায় সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
এদিকে বিদ্রোহী দল টিপিএলএফ বলছে, এরইমধ্যে তারা রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি শহরের দখল নিয়েছেন।
দেশটির টাইগ্রে অঞ্চলে এক বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি বাহিনীর সাথে টিপিএলএফ বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে উভয়পক্ষের প্রতি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি।
টিপিএলএফ বলছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বিদ্রোহীদের হাত থেকে দেশকে এবং দেশের জনগণকে বাঁচাতে সব ধরনের অস্ত্র এবং শক্তি বৈধ উপায়ে ব্যবহার করবেন তিনি। এ জন্য সাধারণ জনগণকে সংঘবদ্ধ হতে হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসবি/
আরও পড়ুন