এ মাসেই আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জোয়াদ’
প্রকাশিত : ২১:৫৫, ৭ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২১:৫৬, ৭ নভেম্বর ২০২১

আঘাত হানার দিনে জোয়াদের অবস্থান নির্দেশনা
বর্ষার বিদায়ের পর ক্রমশ শীতের আমেজ বাড়লেও চলতি মাসের শেষ দিকেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আকাশে ফের দেখা দিতে যাচ্ছে দুর্যোগের ঘনঘটা। নভেম্বরের ২২ বা ২৩ তারিখেই সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থা।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৩ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যেটা আন্দামান সাগরে প্রবেশ করে ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করবে। প্রাথমিকভাবে পশ্চিম, উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ঘূর্ণাবর্তটি। পরে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিবে। যার নাম ‘জোয়াদ’। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব।
এর একদিন পর অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর গতিমুখ পরিবর্তন করে পূর্ব, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আশার কথা হচ্ছে- উপকূলের যত কাছে আসবে ততই কমতে থাকবে তার গতি। ২২ বা ২৩ নভেম্বর সুন্দরবনে আঘাত হানার মধ্যদিয়ে ভারত–বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। যার জেরে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা। তবে ভূ-ভাগে প্রবেশের আগে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ভারতের পুরী থেকে বাংলাদেশের বরিশালের মধ্যে যে কোনও জায়গা দিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়টি। তবে ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করার পর এ বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট তথ্য দেয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, এ বছরের মে মাসে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এরপর আঘাত হানে গুলাব ও শাহিন। শেষোক্ত নামটি কাতারের দেয়া। আর আসন্ন ঘূর্ণিঝড় জোয়াড নামটি দিয়েছে সৌদি আরব।
এরপর রয়েছে শ্রীলঙ্কার আসানি, থাইল্যান্ডের সিতরাং, সৌদি আরবের দেয়া মান্দোস এবং ইয়েমেনের দেয়া মোচা। এ পর্যন্ত আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটিতে থাকা ১৩টি দেশের একটি করে নাম দেয়া হয়ে যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশের দেয়া নামের তালিকায় প্রথমটি ছিল নিসর্গ। বাকি ১২টি নাম হল- বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, বার্সন, রাজানি, নিশীথ, উর্মি, মেঘালা, সমীরণ, প্রতিকূল, সরোবর, মহানিশা। সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//
আরও পড়ুন