যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা মামলায় ৩ শেতাঙ্গ দোষী সাব্যস্ত
প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৫:৪৮, ২৫ নভেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক আহমাদ আরবেরি হত্যায় অভিযুক্ত তিন শেতাঙ্গকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জর্জিয়ার আদালত। খবর সিএনএনের।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আদালতের বিচারকেরা এই রায় দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- গ্রেগরি ম্যাকমাইকেল, তাঁর ছেলে ট্র্যাভিস এবং তাঁদের প্রতিবেশী উইলিয়াম ব্রায়ান।
আদালতের এই জুরিতে ৯ জন শ্বেতাঙ্গ নারী, দুইজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ ছিলেন। দুই দিন ধরে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর তাদের এই রায় এসেছে। এতে ২৩ জন সাক্ষ্য দেন।
আদালতকে আসামিরা বলেন, তাঁরা একজন নাগরিককে গ্রেফতারের সময় আত্মরক্ষায় কাজ করেছিল। কিন্তু বাদী পক্ষের আইনজীবী বলেছে, এই হত্যায় জাতিগত একটি ফ্যাক্টর ছিল।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, আক্রমণ, মিথ্যা বলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা আরবেরিকে টার্গেট করেছিল কারণ সে কৃষ্ণাঙ্গ ছিল।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছর বয়সী আহমেদ আরবেরি খুন হন। নিরস্ত্র আহমেদ আরবেরিকে শ্বেতাঙ্গ তিন যুবক হত্যার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এরপর অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ম্যাকমাইকেলের ব্যাপারে অভিযোগ ছিল হত্যা ও নির্যাতনের। ব্রায়ানের ব্যাপারে অভিযোগ ছিল হত্যা ও অবৈধভাবে আটক করার।
এই বিচার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সম্প্রদায়কে দ্বিধাবিভক্ত করেছে এবং আরো একবার আমেরিকাকে বর্ণগত সংখ্যালঘু এক সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বল প্রয়োগের একটি ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য করলো।
৬৫ বছর বয়সী গ্রেগরি ম্যাকমাইকেল, তার ছেলে ট্রাভিস ম্যাকমাইকেল এবং প্রতিবেশী ৪২ বছর বয়সী উইলিয়াম রোডি ব্রায়ানকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে জর্জিয়া রাজ্যের ব্রাউন্সউইকে আহমুদ আরবেরি নামক এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে ধাওয়া করে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
হত্যা ও প্রচন্ড আক্রমণ ছাড়াও, জর্জিয়ার এই ৩ ব্যক্তিকে অপহরণের প্রচেষ্টা চালানো এবং আরবেরিকে বর্ণগত ভাবে চিহ্নিত করার মত রাষ্ট্রীয় ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসামি পক্ষের হয়ে একমাত্র ট্রাভিস ম্যাকমাইকেল সাক্ষ্য দিতে আদালতে দাঁড়ায়। সে আদালতকে জানায়, আত্মরক্ষার জন্য অত্যন্ত কাছে থেকে সে শটগান দিয়ে গুলি ছোড়ে।
আরবেরির হত্যার ভিডিওটি ফাঁস যাওয়ায় এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ ও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার দু মাসেরও বেশি সময় পরে পুলিশ সন্দেহভাজনদের অভিযুক্ত না করাতে, গত বছর গোটা দেশে প্রতিবাদ দেখা দেয়।
সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
এসএ/
আরও পড়ুন