ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার শিকারদের জন্য সুবিচার চাওয়ার ১৩ বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৫, ২৬ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২০:২৮, ২৬ নভেম্বর ২০২১

ভারতের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর রক্তস্রোত বয়ে গিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন সেদিন বহু মানুষ।

সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকীতে ভারত সরকার এবং জনগণ এই নৃশংস হামলার শিকার এবং মানুষকে রক্ষা করার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর নিরাপত্তা কর্মীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।     

ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পৃথক বাণীতে নিহতদের পরিবারের প্রতি তাঁদের দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করেছেন। মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার শুক্রবার মুম্বাইয়ের পুলিশ মেমোরিয়ালে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেন।
 
ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাই কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করেছে। মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার মামলায় দ্রুত বিচারের জন্য ভারতের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে এবং পাকিস্তান সরকারকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিকে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তাকে একটি নোট ভার্বাল হস্তান্তর করা হয়।
 
এই হামলায় আরও ১৪টি দেশ তাদের নাগরিক হারিয়েছে। বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের অব্যাহত বৈশ্বিক হুমকির কথা মনে করিয়ে দিতে এই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলি দেশী-বিদেশী নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেসব দেশের সরকারের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্য এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

এটি একটি গভীর বেদনার বিষয় যে, এই জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার ১৩ বছর পরেও, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পাকিস্তানের সামান্য আন্তরিকতার অভাবে হামলার শিকার বিশ্বের ১৫টি দেশের ১৬৬ নাগরিকের পরিবার এখনও ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
 
২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা, সম্পাদন এবং শুরু পাকিস্তানি ভূখণ্ড থেকে হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এটি স্বীকার করেছেন যে, সন্ত্রাসীদের পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছিল। আমরা আবারও পাকিস্তান সরকারকে দ্বৈত নীতি পরিত্যাগ করার এবং ভয়াবহ হামলার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই। এটা শুধু সন্ত্রাসীদের কাছে নিরীহ নির্যাতিতদের পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের জবাবদিহির বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাও বটে।
 
ভারত সরকার ভুক্তভোগী এবং শহীদদের পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি