ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ব্রিটিশদেরও পর্যবেক্ষণ করছে চীনের দুই সিসিটিভি কোম্পানি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০২১

চীনা কোম্পানির তৈরি অন্তত ২ লাখ ৭৫ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক ব্রিটিশদের পর্যবেক্ষণ করছে। কোম্পানিগুলো চীনের উইঘুরের বন্দিশিবির গুলোতেও নজরদারি চালিয়ে আসছে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে অবস্থিত পাঁচটি বন্দিশিবিরে হিকভিশন এবং দাহুয়া নামের দুটি চীনা কোম্পানি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বন্দিশিবিরগুলোতে এই নজরদারি চালানোর তথ্য উঠে এসেছে। এবার বিশেষভাবে উঠে এলো কোন কোম্পানি গুলো সেখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের ওই দুটি কোম্পানিকে ইতিমধ্যেই কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার ওই কোম্পানি দুটিকে এখনো পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনেনি। বরং এখনো ওই কোম্পানি দুটি যুক্তরাজ্যে বহাল তবিয়তে পরিষেবা দিয়ে আসছে। 

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৬ টি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ওই দুটি কোম্পানি যুক্তরাজ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহৃত ক্যামেরার নেটওয়ার্ক এই হিসেবের বাইরে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সংখ্যাও অনেক বেশি হবে। এদিকে, টপ১০ভিপিএন এর এক পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ৬১ হাজার ৫০৪টি, বার্মিংহামে ৮ হাজার ৮৬৫টি, ম্যানচেস্টারে ৭ হাজার ৪৬৩টি এবং লিভারপুলে ৪ হাজার ৯৫৭টি চীনা সিসিটিভি নজরদারি চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে দেখা গেছে যে সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কর্ম ও পেনশন বিভাগ এবং বিচার মন্ত্রণালয় জুড়ে শত শত হিকভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করছে।

ওই দুটি সিসিটিভি কোম্পানির সঙ্গে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সংশ্লিষ্টতা থাকায় এই ক্যামেরাগুলো ব্যবহারে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। এই কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। এছাড়া ও চীনে মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুরদের দমনে হিকভিশন এবং ডাহুয়ার ক্যামেরা এবং প্রযুক্তি উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে। নৈতিকতার জায়গা থেকে এমন কোম্পানির পরিসেবা গ্রহণ করা কতটা যৌক্তিক? বিশ্লেষণ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোম্পানি দুটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে। মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীন যে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সেটিকে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী ও রাষ্ট্র পরিষ্কার গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে; আর চীন গণহত্যার এই প্রকল্প থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আর্থিক এই লাভের পরিমাণ বিশাল বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি