ফুলশয্যার পরেই গলায় ফাঁস!
প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এরপর ধুমধাম করে হয়েছিল বিয়ে। তবে ফুলশয্যার রাত পার করে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলেন নববধূ। কেন আত্মহত্যা করলেন স্বামী? উত্তর খুঁজছেন নববধূ।
পুলিশের কাছে তার দাবি, শুক্রবার ভোরে বাসরঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তার স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের বি গার্ডেন থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে হাওড়ার শালিমার এলাকার বাসিন্দা আদর্শ সাউ (২৪)-এর নিথর দেহ দেখতে পান তার স্ত্রী বর্ষা কুমারী। তদন্তকারীদের কাছে বর্ষা জানিয়েছেন, ফুলশয্যার পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে আদর্শের কথা মতো বাথরুমে গিয়েছিলেন তিনি।
ফিরে এসে দেখেন, আদর্শের দেহ ঝুলছে তাদের ঘরে। বাসরঘরে তাদের বিছানার উপর ফুলের সাজের সঙ্গে দড়ি বেঁধে তাতে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আদর্শ। খবর পেয়ে আদর্শকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ৭ ডিসেম্বর ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। ব্যারাকপুরে বাসিন্দা বর্ষার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দেখাশোনা করে দু’জনের বিয়ে স্থির করেছিলেন অভিভাবকেরা। পেশায় গা়ড়িচালক আদর্শেরও এই বিয়েতে সম্মতি ছিল বলে দাবি তাদের।
বর্ষা বলেন, ‘‘বিয়ের আগে আমাদের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা হত। তবে সে সময় কিছু অস্বাভাবিক বিষয় টের পাইনি। আজ ভোরে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বলেছিলেন আদর্শ। সে জন্য বাথরুমে গিয়েছিলাম। আমি বাথরুমে যেতেই এ ঘটনা ঘটে।’’
ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল দুই পরিবারের সদস্যরা। কেন এমন ঘটনা— কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য আদর্শের দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দম্পতির কারওর অন্য প্রেমঘটিত সম্পর্কের জেরেই এ ঘটনা কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি
আরও পড়ুন