আফগানিস্তানের ফ্রিজ হয়ে থাকা তহবিলের অর্থছাড়ে রাজি দাতারা
প্রকাশিত : ১১:৪৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১২:০২, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানে জরুরিভিত্তিতে খাদ্য ও চিকিৎসা উপকরণ পাঠাতে ফ্রিজ অবস্থায় থাকা একটি আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ে সম্মতি দিয়েছে দাতাগোষ্ঠী। আপাতত ওই তহবিল থেকে ২৮ কোটি ডলার দেশটিতে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য ও খাদ্য সহায়তা দিতে জব্দ করা অর্থ ছাড়ে রাজি হয়েছে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, স্থগিত থাকা তহবিল থেকে দাতারা ২৮০ মিলিয়ন ডলার আফগানিস্তান সংশ্লিষ্ট জাতিসংঘের স্বাস্থ্য ও খাদ্য তহবিলে ছাড়ে রাজি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক পরিচালিত আফগানিস্তান রিকনস্ট্রাকশন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ওই অর্থ জাতিসংঘের ডব্লিউএফপি ও ইউনিসেফে স্থানান্তরিত হবে।
গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এরপর আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী দেশটিতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। এতে দেশটি গভীর মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি 'ডব্লিউএফপি' সতর্ক করেছে, দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার হুমকিতে আছে। ৩০ লাখ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
শুরুতে তীব্র খরায় গম চাষে মারাত্মক ক্ষতি হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়।
পরে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে।
পশ্চিমা শক্তিগুলো তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলো দেশটির প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ স্থগিত করে। বিশ্ব ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও একই রকম সিদ্ধান্ত নেয়।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, দেশটিতে শীতকাল শুরু হয়েছে। আর তাই সহায়তার ওপর নির্ভরশীল দেশটিতে আনুমানিক ২৩ মিলিয়ন মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা দরকার।
ডব্লিউএফপি এই পরিস্থিতিকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট’ বলে আখ্যা দিয়েছে।আফগানিস্তানে দাতা সঙ্গস্থাগুলো আবারো খাদ্য ও স্বাস্থ্য সহায়তার ফিরছে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো আফগানিস্তানে জাতিসংঘের খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় জমে থাকা তহবিল থেকে ২৮০মি (£২১০) স্থানান্তর করতে সম্মত হয়েছে।
আগস্ট মাসে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আর্থিক সহায়তা অপসারণের ফলে দেশটি একটি গভীর মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি 'ডব্লিউএফপি' সতর্ক করেছে যে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি তীব্র ক্ষুধার হুমকিতে রয়েছে। তিন লাখেও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
পরিস্থিতিটি একটি গুরুতর খরার ফলাফল, যা গমের ফসলের বেশিরভাগই নষ্ট করেছে এবং দাম বেড়েছে এবং তালেবানদের দখলের পরে পশ্চিমা দেশগুলির আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ফলে একটি অর্থনৈতিক সংকট ত্বরান্বিত হয়েছে।
পশ্চিমা শক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলি আফগান রিজার্ভের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার হিমায়িত করেছে, যখন বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও দেশটির তহবিল অ্যাক্সেস বন্ধ করেছে।
ডব্লিউএফপি অনুমান করে যে ২৩ মিলিয়ন মানুষের জরুরী খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন কারণ সাহায্য-নির্ভর দেশটিতে শীতকাল শুরু হয়ছে এবং এই পরিস্থিতিকে "পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট" বলে অভিহিত করে।
বিশ্বব্যাংক-শাসিত আফগানিস্তান পুনর্গঠন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্থ ডব্লিউএফপি এবং ইউনিসেফ, উভয় জাতিসংঘ সংস্থায় স্থানান্তর করা হবে।
সূত্রঃ বিবিসি
আরএমএ
আরও পড়ুন