রাই-এর আঘাতে ফিলিপাইনে ১২ জনের প্রাণহানি
প্রকাশিত : ২১:১৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২১:২২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
ফিলিফাইনের একটি অংশের চিত্র
চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দেড় লাখের মতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়টির প্রভাবে দ্বীপপুঞ্জের বহু সংখ্যক গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ফেলেছে এবং গ্রামগুলো বন্যায় ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা।
শুক্রবার টাইফুন রাই দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে আঘাত হানার ফলে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর এবং সমুদ্র সৈকতের রিসোর্ট ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের লক্ষ্যে পালিয়েছে। কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ এক বিবৃতিতে বলেন, ঝড়ের কবলে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়টি ভিসায়াস এবং দক্ষিণের দ্বীপ মিন্দানাও ধ্বংস করার পর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পালোয়ান দ্বীপেও আঘাত করেছিল।
তিনি বলেন, "সিয়ারগাও দ্বীপটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা রাস্তায় লোকেদের হাঁটতে দেখছি, তাদের মধ্যে অনেকেই বিধ্বস্ত।"
ডেনিস দাতু নামে স্থানীয় এক সংবাদদাতা মিন্দানাওয়ের উত্তর প্রান্তে এবং সিয়ারগাওর কাছে অবস্থিত সুরিগাও শহর থেকে জানিয়েছেন, “প্রাদেশিক দুর্যোগ কার্যালয়সহ সমস্ত ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মনে হচ্ছে, এখানে একটি ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে।"
বার্তা সংস্থা এপির মতে, স্থানীয় অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং এর ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ওই সংবাদদাতা দাতু বলেন, উপকূলীয় শহরের দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলো ভূমিধস, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে, টাইফুন রাইকে ‘দক্ষিণ ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনগুলোর মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি) বলেছে, ঝড়টি বাড়িগুলোকে টুকরো টুকরো করেছে, গ্রামগুলোকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে এবং শহরের অবশিষ্ট অংশকে পানির নিচে তলিয়ে দিয়েছে।
সংস্থাটির মতে, এই ঝড়ে এক লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি সেবা দানকারী কর্মীরা সৃষ্ট বন্যায় গুরুতরভাবে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের জন্য কাগায়ান দে ওরো, বোহোল এবং কাবানকালানসহ শহরগুলোতে ছোটাছুটি করছেন, যেগুলোর বিশাল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সূত্র- এবিসি নিউজ।
এনএস//
আরও পড়ুন