ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নকল পাত্রী সেজে টাকা নিয়ে উধাও কনে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২৩:৩৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

‘ডলি কি ডোলি’-র লুটেরি দুলহান এ বার বাস্তবে! ছবিতে সোনম কাপূর যেমন একাধিক পাত্রকে ঠকিয়ে বিয়ের ঠিক আগে বা পরে সব সম্পত্তি নিয়ে গায়েব হয়ে যেতেন, তেমনই ঘটনা এ বার বাস্তবে ঘটল। ঘটনাস্থল ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলা। খবর আনন্দবাজারের

পাত্রপক্ষের বাড়িতে বসেছে বিয়ের আসর। রাত পোহালেই শুরু হবে বিয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজন তুঙ্গে। উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ করে তাল কাটল ছন্দে। হইহই কাণ্ড। বিয়ের আগের দিনই বেপাত্তা হয়ে গেলেন কনে। পাত্রপক্ষের মাথায় হাত। বউ পালালে না হয় বউ পাওয়া যাবে, কিন্তু টাকা?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্রী এবং তাঁর বাড়ির লোক বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় বেশ কয়েক দফায় ছেলের বাড়ির কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে ইদানীং কাটনিতে নকল পাত্রীর দল বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

পাত্রের মা ৭৬ বছর বয়সি জগদম্বা দীক্ষিত সম্প্রতি কেমোর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, নকল পাত্রী এবং তার বাড়ির সদস্যদের নামে। তিনি জানিয়েছেন, তার দুই ছেলে বসন্তলাল দীক্ষিত ও রাজেশ দীক্ষিত। তারা দু’জনেই অবিবাহিত। তাদের দু’জনের বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন অরুণ কুমার তিওয়ারি। সতনার বাসিন্দা ববিতা তিওয়ারির দুই মেয়ে সাধনা এবং শিবানি তিওয়ারির জন্যে সমন্ধ আনেন। 

জগদম্বার দুটি মেয়েকেই পছন্দ হয় এবং বিয়ে পাকা করেন তিনি। সম্বন্ধ পাকা হওয়ার পর মেয়ের বাড়ি সদস্যদের ছেলের বাড়ি আসতে বলা হয়। সেখানে নকল মেয়ের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আসেন সাজানো মামা ও কাকা।

মেয়ের বাড়ির আর্থিক অবস্থার ভাল নয় বলে সেই সাজানো কাকা ও মামা প্রথম দফায় ছেলের বাড়ির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং পরবর্তী দফায় ৫০ হাজার টাকা নেন। এখানেই শেষ নয়, নানারকম অজুহাত দেখিয়ে আরও ১ লাখ টাকা নেন তারা।

বিয়ের ঠিক এক দিন আগে ববিতা ছেলের বাড়িতে ফোন করে জানায় যে, এক নিকট আত্মীয়ের মারা যাওয়ায় তাদের এখনই বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর পর ছেলের বাড়ি থেকে যখন সতনায় মেয়ের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে এ রকম কোনও পরিবারেও অস্তিত্ব নেই। সব গায়েব। পুরোটাই নকল।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি