তিন বছরের সন্তানকে বিক্রির চেষ্টা, পাচারকারী মায়ের
প্রকাশিত : ০৮:৪১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৮:৪২, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভাবের কারণে নিজের তিন বছরের কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিতে যাচ্ছিলেন এক মা। তবে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বর্তমানে ওই শিশুকে একটি চাইল্ড কেয়ার হোমে রাখা হয়েছে। শিশুটির মা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
গত চার বছর ধরে কলকাতার হেস্টিংস ফ্লাইওভারের নিচে দুস্থ শিশুদের পড়াশোনা শেখায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ‘প্রান্তকথা’ নামের সেই সংস্থায় কাজ করেন স্থানীয় নারীরা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, সেখানেই খালা আসমিনা বিবির সঙ্গে রোজ আসতো তিন বছরের শিশুটি। ফুটফুটে মেয়েটি তার কোলেই থাকত। ছবি আঁকত। আচমকাই একদিন আসা বন্ধ করে দেয় সে। চিন্তায় পড়ে যান স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।
শিশুটির মা সালমা মাদকাসক্ত এবং মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তাই জন্ম থেকে খালার কাছেই মানুষ শিশুটি। মা থাকেন রাজস্থানের আজমীর শরিফের কাছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আসমিনাকে ফোন করে শিশুটির মা। জানান, ‘মেয়েকে এবার নিয়ে যাবেন নিজের কাছে।
আসমিনা বিবির বক্তব্য, খবর নিয়ে জানতে পেরেছিলাম চূড়ান্ত অর্থাভাবে ভুগছেন আমার বোন। মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি। এরপর দ্রুত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের বিষয়টি জানান আসমিনা।
এরপর ডায়মন্ড হারবারে নেওয়া হয় শিশুটিকে। এরইমধ্যে শিশুটির খালা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'প্রান্তকথা'র সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযোগ জানান। এর প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে ডায়মন্ড হারবার থানার কাছে নির্দেশ যায়। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। আপাতত সে রয়েছে কলকাতার একটি হোমে।
কিন্তু এরই মধ্যে আরও এক বিপত্তি। গত রাতে শিশুটির খালার ছোট্ট কুপড়িতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির খোঁজখবর করার জন্যেই এই পরিণতি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়।
এসবি/
আরও পড়ুন