চীনের বিরুদ্ধে ডেটা নজরদারি চালানোর অভিযোগ
প্রকাশিত : ২৩:১৭, ১২ জানুয়ারি ২০২২
পশ্চিমা দেশগুলোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে গভীর মনোযোগ দিয়েছে চীন। এর মাধ্যমে চীন বিদেশি লক্ষ্যবস্তুর ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করবে। শত শত চীনা নথি, চুক্তি এবং কোম্পানির নথি পর্যালোচনার পর ওয়াশিংটনভিত্তিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন দেশব্যাপী ডেটা নজরদারি চালাচ্ছে, যা এক দশক আগে শুরু করেছে। রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল তথ্য সম্পর্কে কর্মকর্তাদের সতর্ক করছে। তারা এমন সফ্টওয়্যার ব্যবহার করছে, যা দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং মিডিয়াকে টার্গেট করে। এ ছাড়া টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য পশ্চিমা মাধ্যমগুলো থেকে প্রাপ্ত বিদেশি টার্গেটগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ওই নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মিডিয়া, প্রচার বিভাগ, পুলিশ, সামরিক এবং সাইবার নিয়ন্ত্রণসহ চীনা সংস্থাগুলো ডেটা সংগ্রহের জন্য নতুন বা আরও অত্যাধুনিক সিস্টেম কিনছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা রাষ্ট্রীয় মাধ্যমের সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম বিদেশি সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদদের একটি ডাটাবেস তৈরি করতে টুইটার এবং ফেসবুকের ওপর নজর রাখছে। এ ছাড়া বেইজিং পুলিশের একটি গোয়েন্দা প্রোগ্রাম হংকং এবং তাইওয়ানের পশ্চিমা বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে। এটি বিদেশে উইঘুরদের বিষয়ও তালিকাভুক্ত করে।
চীনের কেন্দ্রীয় প্রচারণা বিভাগের রিপোর্টিং ইউনিটের এক বিশ্লেষক বলেছেন, “আমরা এখন চীন-বিরোধী কর্মকাণ্ডের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ককে আরও ভালভাবে বুঝতে পারি।”
বেইজিংয়ের সিনিয়র নেতৃত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত নেতিবাচক বিষয়বস্তু টুইটারে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে সে সম্পর্কে একটি ডেটা রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই ইউনিটকে।
ওয়াশিংটন পোস্টকে জার্মান মার্শাল ফান্ডের সিনিয়র ফেলো মারেইকে ওহলবার্গ বলেছেন, “আমি মনে করি এটি স্পষ্টভাবে ভয়ঙ্কর। এটি চীনের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সত্যই দেখায়, তারা এখন বিদেশে চীনকে রক্ষা করা এবং বিদেশে জনমত যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করা তাদের দায়িত্ব মনে করে।’ সূত্র : হংকং পোস্ট
এসি
আরও পড়ুন