চীনে রেকর্ড মাত্রায় কমেছে জন্মহার
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২২
চীনে রেকর্ড মাত্রায় কমেছে জন্মহার। ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস সোমবার এ বিষয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে ২০২১ সালে প্রতি এক হাজারে সন্তান জন্মদানের হার ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক সন্তান নীতির কারণেই মানুষের মধ্যে সন্তান জন্মদানের আগ্রহ কমেছে। যদিও কয়েক দশকের এক সন্তান নীতি ২০১৬ সালে বাতিল করে চীন।
এরপর প্রথমে দুই সন্তানের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন না হওয়ায় গেল বছর থেকে দেশটির সরকার দম্পতিদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়ই নি, উল্টো রেকর্ড মাত্রায় কমেছে জন্ম হার।
দেশটিতে দীর্ঘদিন এক সন্তান নীতির প্রচলনের কারণে বয়স্ক মানুষের সংখ্যাও দ্রুত বেড়ে যাচ্ছিল।
এ অবস্থায় ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে সরকার নীতি পরিবর্তন করে তিন সন্তানের অনুমোদন দেয়।কিন্তু বেশির ভাগ দম্পতিই এতে সাড়া দেয়নি। শহুরে জীবনে ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় তারা সন্তান নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী নন।
এর আগে ১৯৪৯ সালে দেশটিতে জন্মহার ছিল সর্বনিম্ন। ওই বছর থেকেই এ বিষয়ে তথ্য রাখা শুরু করে ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস। ওই পরিসংখ্যানে বলা হয়, অভিবাসী বাদে চীনের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ২০২১ সালে ছিল মাত্র ০.০৩৪ শতাংশ। ১৯৬০ সালের পর এ হার ছিল সর্বনিম্ন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০২১ সালে জন্মহার যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, তা ১৯৪৯ সালের পর সর্বনিম্ন। পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝাং বলেন, চীনে জনসংখ্যাতত্ত্বের চ্যালেঞ্জ সুপরিচিত। কিন্তু প্রত্যাশার চেয়ে যে, বয়স্কদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়টি পরিষ্কার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে চীনে মোট শিশু জন্ম নিয়েছে এক কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ২০ লাখ। ওই বছর প্রতি এক হাজারে জন্মহার ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এক সময় চীনে জন বিস্ফোরণ শুরু হয়েছিল। তা ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চীন সরকার। যা চীনের অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলেছিল। মানুষের সঞ্চয়ের জায়গা বেড়েছিল কিন্তু পরে দেখা যায় সেখানকার বয়স্কদের দেখাশোনার জন্য লোকজনের অভাব দেখা যাচ্ছিল। অনেক পরিবার আবার সন্তানহীন হয়ে পড়েছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এসবি/
আরও পড়ুন