আবুধাবি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা
প্রকাশিত : ১৭:৩৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৭:৪৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

মধ্যপ্রাচ্যে ফের যুদ্ধের দামামা বেজে উঠছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে জোড়া হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথিরা। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
তবে ড্রোন হামলার জেরে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাংশে আগুন ধরে যায়। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের মদতপুষ্ঠ জঙ্গি গোষ্ঠী হুতি।
আরব আমিরাতের বৈদেশিক কূটনীতি এবং সরকারের কৌশল নির্ধারিত হয় এই আবুধাবি থেকে। সেই নিরিখে দেখতে গেলে আমিরশাহীর গুরুত্বপূর্ণ শহর আবুধাবি। সোমবার এই শহরকেই নিশানা করা হলো।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বিমানবন্দরে জ্বালানি সরবরাহকারী তেলের তিনটি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। আবার বিমানবন্দরের ভিতরে নির্মিয়মান একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে যায়। ড্রোন হামলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বিমান ওঠানামায় কোনও ক্ষতি হয়নি। এদিকে ট্যাঙ্কারের বিধ্বংসী আগুনও আপাতত নিয়ন্ত্রণে। নাশকতামূলক কার্যকলাপের দায় নিয়েছে ইয়েমেন মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী হুতি। এদিকে তদন্ত শুরু করেছে আমিরশাহীর পুলিশ।
তাদের দাবি, উড়ন্ত কোনও বিস্ফোরক ট্যাঙ্কার এবং বিমানবন্দরে পড়েছিল। তার জেরেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আগুন ধরে যায়। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমেই হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর একইভাবে আমিরশাহীর দু’টি তেলের খনিতে হামলা চালিয়েছিল এই হুতি গোষ্ঠী। যার জেরে দু’দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শুরু থেকেই আমিরশাহী এবং ইয়েমেনের সম্পর্ক কার্যত সাপে-নেউলে।
কিন্তু কেন?
সৌদি আরবপন্থী জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আমিরশাহী। যারা ইরান মদতপুষ্ট হুতি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতিরা ইয়েমেনর রাজধানী দখল করে নেয়। আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে। সেই সময় থেকেই হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে আমিরশাহী। হুথিদের এই হামলার পর সেই সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসি
আরও পড়ুন