ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে ‘স্বাধীনতার’ স্বীকৃতি দিলেন পুতিন
প্রকাশিত : ০৮:৩৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমাদের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে যে, পুতিন দ্রুতই ইউক্রেন আক্রমণ করতে চলেছেন৷
এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে জরুরি এক বৈঠকে অংশ নেন পুতিন। সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এই বৈঠক রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
এ সময় পুতিন জানান, ‘পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা তাদের নিয়ন্ত্রিত ডোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতির যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটা বিবেচনা করছেন। এই অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দিতে আজই (সোমবার) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইউক্রেনের বিচ্ছিন দুই অঞ্চল ডোনেস্ক ও লুহানস্ক। এই অঞ্চলগুলো রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের আবাসস্থল। তারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ডোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে রাশিয়ার স্বীকৃতি পূর্ব ইউক্রেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত নিয়ন্ত্রণের ভঙ্গুর শান্তি প্রক্রিয়াকে কবর দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে পশ্চিমারা। পুতিনের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এদিকে সোমবার রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ডোনেস্ক ও লুহানস্ক ছেড়ে গেছে প্রায় ৬০ হাজার ‘শরণার্থী’।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ডনবাসের দুটি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা। সেখানে নিজস্ব শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করেছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্রোহীরা তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বেসামরিক বাসিন্দাদের রাশিয়ায় সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ঘোষণা দিয়েছে সেনা সমাবেশের। মস্কোর দাবি, ওই ঘোষণার পর থেকেই লোকজন শরণার্থী হিসেবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।
এসবি/
আরও পড়ুন