চীনে আবারও পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা
প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ১৪ মার্চ ২০২২
২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বেড়ে কোথাও কোথাও তিনগুণ হয়েছে৷ গত দুই বছরে দৈনিক সংক্রমণ এত বেশি বাড়তে দেখেনি চীন৷ দ্রুত লকডাউনের আওতায় নেয়া হয়েছে একটি অঞ্চল৷
কোভিডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' নীতি চীনের। বিশ্বে প্রথম সেই দেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ধরা পড়ার পরই এই নীতি ঘোষণা করেছিল সরকার। ফলে একটা সময় স্বস্তি ফিরতে শুরু করে পুরো দেশে।
তবে হঠাৎ আবার দুশ্চিন্তা বাড়ানোর তথ্য আসছে। দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ এক দিনে ১ হাজার ৮০৭ জনের লক্ষণযুক্ত (সিম্পটোমেটিক) সংক্রমণ। আগের দিনের ৪৭৬ জনের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই নড়েচড়ে বসেছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ। আগের দিন কোনো লক্ষণ নেই বলে ‘অ্যাসিম্পটোমেটিক' হিসেবে চিহ্নিত করা ১১৪ জনের দেহে পরের দিনই করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়ায় করোনার দ্রুত বিস্তারের আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ৷
এবং তাতে সংকট আবার চরমের দিকে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷ সে কারণে দুটি জরুরি ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে দ্রুত। চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনহেনকে নেয়া হয়েছে লকডাউনের আওতায়।
হুয়াই এবং টেনসেন্ট-এর মতো টেক জায়ান্টদের শহরে ৬৬ জনের দেহে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের শহরে ৬৬ খুব বড় কোনো সংখ্যা নয়৷ তারপরও সংক্রমণ তাড়াতাড়ি ছড়ানোর আশঙ্কা রোধে কঠোরতম সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ৷
এছাড়া দেশের সব নাগরিককে ‘টেস্ট-কিট' কিনে করোনা-পরীক্ষা করার অনুমতিও দেয়া হয়েছে৷ এতদিন এই সুযোগ কারো ছিল না৷ সবাইকে ডাক্তারের কাছে গিয়েই পরীক্ষা করাতে হতো। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসি
আরও পড়ুন