২০তম দিনে যা যা ঘটল ইউক্রেনে
প্রকাশিত : ১০:০৭, ১৬ মার্চ ২০২২
বৈঠকে ইউরোপের চার নেতা
ইউক্রেনে রুশ হামলার ২০তম দিন অতিবাহিত হয়েছে মঙ্গলবার। এই দিনে একের পর এক হামলায় বিপর্যস্তসহ ৩৫ ঘণ্টার কারফিউতে ছিলেন কিয়েভের জনগণ। তবে এর মধ্যেও ট্রেন যাত্রায় কিয়েভ পরিদর্শন করেন পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী থাকা সত্ত্বেও ইউরোপের তিন নেতা এই সফর করেন এবং এই সফরের মূল উদ্যোক্তা ছিল পোল্যান্ড।
গণমাধ্যমের তথ্যসূত্রে জানা যায়, পোলিশ সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উস্কানি হতে পারে ভেবেই তিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে তখনও এটা পরিষ্কার ছিল না যে, কখন তাদের বহনকারী ট্রেনটি ওয়ারশতে ফেরত আসতে পারবে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেন, নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে। কারণ মঙ্গলবার বিকেলে কারফিউ থাকা অবস্থাতেই কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্রিফিং করেন তারা এবং ইউক্রেনের উভয় নেতাই তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান আর ট্যাংক থেকে অনবরত গোলা আর বোমা বর্ষণ হচ্ছে ইউক্রেনের শহরগুলোতে। মারিউপোলে বড় একটি ভবনের বেজমেন্টে আটকে আছেন শত শত মানুষ। সেখানে তীব্র খাদ্য সংকটের পাশাপাশি দরকার হয়ে পড়েছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবাও।
কিয়েভ শহরের পশ্চিমদিকের শহরতলীতে একটি হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা যেন রুশ সেনাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন। একজন কর্মী জানিয়েছেন, আশেপাশের অন্তত ৪শ জনকে রাশিয়ান সেনারা বাধ্য করেছে বাড়ি ছেড়ে হাসপাতালে আসতে। তিনি আরো বলেন, "এখন আমরা আর যেতে পারছি না।"
আঞ্চলিক গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, সাম্প্রতিক গোলাবর্ষণে সব ধ্বংস হয়ে গেছে যদিও কর্মীরা হাসপাতালের বেজমেন্টেই লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রায় দুই হাজার গাড়ি মানবিক করিডোর দিয়ে মারিউপোল ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। যুদ্ধের আগে চার লাখ মানুষ শহরে বাস করতো। সিটি কাউন্সিল বলছে, অন্তত দুই হাজার মানুষ এরই মধ্যে মারা গেছে।
এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ফক্স নিউজের একজন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। কিয়েভের শহরতলীতে ব্যাপক গুলিবর্ষণের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন তারা। এর আগে রোববার ৫০ বছর বয়সী মার্কিন সাংবাদিক ব্রেন্ট গুলিতে নিহত হন।
রাশিয়া পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা দিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ১২ মার্কিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও প্রেসিডেন্ট পুত্র হান্টার বাইডেনও রয়েছেন।
এ নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব ব্যক্তিরা রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং রাশিয়ায় তাদের সম্পদ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান সরকার। সূত্র- বিবিসি
আরএমএ//এনএস//
আরও পড়ুন