ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

দাপুটে অর্থমন্ত্রী এখন ট্যাক্সি চালক!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৬, ২৮ মার্চ ২০২২

খালিদ পায়েন্দা

খালিদ পায়েন্দা

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সময়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কাবুলে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্যাক্সি চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন সাবেক আফগান অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রেরই একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত খবরটি। 

অ্যাপভিত্তিক ক্যাব চালানোর পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন সাবেক এই আফগান অর্থমন্ত্রী। উবার চালক হিসাবে পেশাটাকে মোটেই খাটো করে দেখছেন না তিনি। 

যদিও তার এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক আফগান সরকারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেও দায়ী করছেন তিনি। খালিদ পায়েন্দা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। আমি এ দেশেরও নই, আর ও দেশেরও (আফগানিস্তান) নই। সব কিছুই এখন বড় শূন্য লাগে।’’

২০২০ সালে কোভিডে মাকে হারিয়েছেন। তার পরেই ঘানি সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর পদে যোগ দেন খালিদ। সেই সময়ে আফগানিস্তানে টলমল করছিল ঘানির সিংহাসন। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ততোদিনে। শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট ঘানির সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে খালিদের। 

যে কারণে, গ্রেফতারির ভয়ে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন খালিদ। গত বছর অগস্টে তালেবানের ক্ষমতা দখলের ঠিক এক সপ্তাহ আগে দেশ ছেড়ে সুদূর মার্কিন মুলুকে পরিবারের কাছে পালিয়ে আসেন তিনি।

আশরাফ ঘানির সরকারে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তটাই ভুল ছিল বলে মনে করেন খালিদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা হেরে গিয়েছি। আমিও সেই হারের সঙ্গী। মানুষের দুর্দশার কারণ হিসাবে নিজেকে দায়ী করা খুবই কঠিন একটা অনুভূতি।’’

একইসঙ্গে আফগানিস্তানের এমন দুর্দশার দায় বহুলাংশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উপরেও বর্তায় বলে মনে করেন খালিদ। তিনি বলেন, ‘‘৯/১১ পরবর্তী সময়ের প্রথমদিকে কিছু ভালো কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আফগানিস্তানে মানবাধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল, তা তারা পালন করেনি।’’ সূত্র-ওয়াশিংটন পোস্ট, হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি