ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪২, ২৯ মার্চ ২০২২

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আবারও রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে।  আলোচনা শুরুর আগে উভয় পক্ষকেই বেশ শীতল মনে হয়েছে। এমনকি বৈঠকের আগে কোনও ধরনের করমর্দনও করেননি উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।

প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর দুই পক্ষ মুখোমুখি আলোচনায় বসলেও এ থেকে বড় ধরনের কোনো সাফল্য আসবে না বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন, রাশিয়ার (ভ্লাদিমির) পুতিন ও ইউক্রেইনের (ভলোদিমির) জেলেনস্কি, উভয়েই তার ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’।

এই শান্তি আলোচনার অগ্রগতি ওই দুই নেতার বৈঠকের পথ প্রস্তুত করবে, এমন আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তুরস্ক ওই বৈঠকেরও আয়োজন করতে চায়।”  

বৈঠকে উপস্থিত রাশিয়ার ও ইউক্রেন প্রতিনিধি দলকে তিনি বলেন, “উভয় পক্ষেরই যথাযথ উদ্বেগ আছে কিন্তু আমরা এমন একটি মুহূর্তে পৌঁছেছি যখন আলোচনার মাধ্যমে বাস্তব ফলাফল আসা দরকার।”    

ইউক্রেনের যুদ্ধ পঞ্চম সপ্তাহে প্রবেশ করায় ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। উভয় দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব তুরস্কের জন্য মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

“এই শোচনীয়তা থামানোর বিষয়টি উভয়পক্ষের হাতে রয়েছে,” বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, “একটি ন্যায্য শান্তিকে হারতে দেওয়া যাবে না এবং লড়াই চলতে থাকলে কেউ লাভবান হবে না।

“এই রকম একটি সংকটময় সময়ে আপনাদের স্বাগত জানাতে পেরে এবং আপনাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমি আশা করছি, আমাদের বৈঠক ও আলোচনা আপনাদের দেশের জন্য, আমাদের অঞ্চলের জন্য এবং পুরো মানবজাতির জন্য শুভ হবে।”

তিনি আশু যুদ্ধবিরতির জন্য দুই পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।  

তুরস্ক নেটো সামরিক জোটের সদস্য দেশ হলেও রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় মিত্রতা ধরে রেখেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ঢালাও নিষেধাজ্ঞার মিছিলে যোগ দেননি এরদোয়ান। এখনও নেটোর সদস্য যে কয়েকটি দেশ এমন অবস্থান ধরে রেখেছে তুরস্ক তাদের অন্যতম। 

সূত্র: বিবিসি
এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি