দৈনিক ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ শ্রীলঙ্কায়
প্রকাশিত : ১৭:৩২, ৩০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৭:৩৪, ৩০ মার্চ ২০২২
জ্বালানির তীব্র সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরইমধ্যে বন্ধ হতে চলেছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও। তাই দৈনিক দেশজুড়ে ১০ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বুধবার থেকেই এ ঘোষণা কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিদেশি মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এবারই সোয়া দুই কোটি মানুষের দেশ শ্রীলঙ্কাকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে।
তাপ জেনারেটর চালাতে তেল না থাকায় চলতি মাসের শুরু থেকে দেশটিতে প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছিল।
শ্রীলঙ্কার মোট চাহিদার ৪০ শতাংশের বেশিই আসে জলবিদ্যুৎ থেকে, কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বেশিরভাগ জলাধারে পানি বিপজ্জনক মাত্রায় নেমে এসেছে, জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে কয়লা ও তেল আমদানি করতে হয়, কিন্তু তার বিল পরিশোধে পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রা এখন শ্রীলঙ্কার কাছে নেই। তাই তেল ও কয়লা থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশটিতে।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি তেলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অন্তত দুইদিন শ্রীলঙ্কার কোথাও ডিজেল মিলবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ও কেরোসিনের চালানের মূল্য ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার দিতে দেশটির সরকারের ১২ দিন লেগেছে।
প্রয়োজনীয় বিদেশি মুদ্রা রাখতে শ্রীলঙ্কা ২০২০ সালের মার্চে ব্যাপক আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়, দামও বাড়তে থাকে হু হু করে।
দেশটির অনেক হাসপাতাল এখন ছোটখাট সার্জারি বন্ধ রেখেছে; সুপারমার্কেটগুলোতে চাল, চিনি ও গুড়া দুধের মতো খাবার একজন সর্বোচ্চ কী পরিমাণ কিনতে পারবে তার সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারী দেশটির পর্যটন ও রেমিটেন্সে বড় ধরনের ধাক্কা দেওয়ায় অর্থনৈতিক সংকট এত বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে বলে অনেকের ধারণা। অনেক অর্থনীতিবিদ আবার এ পরিস্থিতির জন্য কর কমানো, বছরের পর বছর বাজেটে ঘাটতি রাখাসহ সরকারের অব্যবস্থাপনাকেও দুষছেন।
এসবি/
আরও পড়ুন