পশ্চিমা দেশগুলোতে গ্যাস বন্ধের হুমকি রাশিয়ার
প্রকাশিত : ০৯:২৬, ১ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১১:১৩, ১ এপ্রিল ২০২২
রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাসের দাম রাশিয়ান মুদ্রা রুবলেই পরিশোধ করতে হবে, রাশিয়ার এই শর্তের পরেও তা মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। তাই এবারে শর্ত না মানলে চুক্তি স্থগিতের কথা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এটি একরকম গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকিই বলা যায়।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরিত একটি আদেশ অনুযায়ী রাশিয়ান গ্যাসের বিদেশি ক্রেতাদের ১লা এপ্রিল থেকে রুবলে অর্থ পরিশোধ করতে হতে পারে। পুতিন বলেন, রাশিয়ান মুদ্রায় অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করলে চুক্তি স্থগিত করা হবে।
ঐ আদেশটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে যাদেরকে পুতিন "বন্ধুত্বসুলভ নয়" বলে অভিহিত করেছেন।
“রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার জন্য ঐ সব দেশগুলোকে অবশ্যই রাশিয়ান ব্যাংকগুলোতে রুবলে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। পুতিন টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছিলেন ঐ অ্যাকাউন্টগুলো থেকেই গ্যাস সরবরাহের জন্য অর্থ প্রদান আগামীকাল থেকে করা যাবে।”
রাশিয়ান নেতা বলেন "যদি ঐ পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান না করা হয় তবে এটাকে আমরা ক্রেতাদের পক্ষ থেকে ত্রুটি বা ডিফল্ট হিসাবে বিবেচনা করব। এর ফলাফল নিশ্চিতভাবেই আসন্ন। কেউ আমাদের বিনামূল্যে কিছু বিক্রি করে না এবং আমরা দাতব্য কাজও করছি না অর্থাৎ এখন যে সব চুক্তি রয়েছে তা বন্ধ হয়ে যাবে”।
এত কড়া কথা বলা সত্বেও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন যে তারা পুতিনের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের বলা হয়েছে যে বিদ্যমান চুক্তিগুলি বহাল থাকবে।
পশ্চিমা সরকার এবং কোম্পানিগুলি প্রস্তাবিত পদক্ষেপটিকে আগের করা চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।আগের চুক্তিতে ইউরো অথবা ডলারে অর্থ প্রদান করা হত।
রুবলের অর্থ প্রদানে বাধ্য করার পদক্ষেপটি গত মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে পশ্চিমা এবং অন্যান্য দেশ রাশিয়ার উপর যে বিশাল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার প্রতিশোধ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ইউরোপ তার গ্যাসের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নেয় রাশিয়ার কাছ থেকে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রুবলের মূল্য নেমে গেলেও এখন আবার তা ফিরে এসেছে যুদ্ধের পূর্ববর্তী অবস্থায়।
এসবি/
আরও পড়ুন