ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আবারও পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের হুমকি রাশিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০২, ১৪ এপ্রিল ২০২২

দিমিত্রি মেদভেদেভ

দিমিত্রি মেদভেদেভ

Ekushey Television Ltd.

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত হলে রাশিয়াকেও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনসহ বাল্টিক অঞ্চলে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ড এবং তার প্রতিবেশী সুইডেন ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে। আর এর পরেই মেদভেদেভ এমন হুমকি দিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ন্যাটোতে যোগ দেবে কি-না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে বুধবার জানান ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।

এর প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে ওই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে রাশিয়াকে বাল্টিক সাগরে তার স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর শক্তি বাড়াতে হবে।

রাশিয়া সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে, স্পষ্ট ভাষায় এ হুমকিও দিয়ে তিনি বলেন, সুইডেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে গেলে ‘পরমাণু মুক্ত’ বাল্টিক নিয়ে আর কোনো কথা হবে না।

বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে থাকা রুশ ভূখণ্ড ক্যালিনিনগ্রাদ, মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকা মেদভেদেভ বলেন, “সুইডেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে গেলে বাল্টিকের পরমাণুমুক্ত অবস্থা নিয়ে কোনো কথা হতে পারে না। ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতেই হবে।”

রুশ সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আজ পর্যন্ত রাশিয়া এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বা নিতে চায়নি। কিন্তু কেউ যদি আমাদের বাধ্য করে… মনে রাখবেন, আমরা এমনটা করার প্রস্তাব দিইনি।”

ইউক্রেনকে ‘নিরস্ত্র’ করার লক্ষ্যে রাশিয়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে, তা এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। উদ্বাস্তু করেছে লাখ লাখ মানুষকে। এ অভিযান একইসঙ্গে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কাও সৃষ্টি করেছে।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে হুমকি দিতে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করছিল, তাতে ইউক্রেনে অভিযান জরুরি হয়ে পড়েছিল। রুশ ভাষাভাষীদের ইউক্রেনের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষায় মস্কোকে যুদ্ধে নামতে হয়েছে, বলেছেন তিনি।

অন্যদিকে, ইউক্রেন বলছে, তারা সাম্রাজ্যবাদী কায়দায় জমি দখলের বিরুদ্ধে লড়ছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কিয়েভ গণহত্যা চালাচ্ছিল বলে পুতিন যে অভিযোগ করেছেন, তাকে ‘আজেবাজে কথা’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি