ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কিয়েভের অত্যাচার থেকে দোনবাসের জনগণকে নিরাপত্তা দেয়া হবে: পুতিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৯, ২১ এপ্রিল ২০২২

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে না আসা পর্যন্ত দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান চলবে বলে ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

তিনি মস্কোয় এক বক্তব্যে বলেন, “দোনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের অত্যাচার ও দমন অভিযানের কারণে রাশিয়া চলমান বিশেষ অভিযান শুরু করতে বাধ্য হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “দোনবাসের লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের নাগরিকদের কিয়েভের অত্যাচার থেকে বাঁচানোর জন্য এ অভিযান চালাতে হয়েছে।”

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভিযানের প্রায় দুই মাস পূর্ণ হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি পশ্চিমা দেশ ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করে রুশবিরোধী যুদ্ধে কিয়েভকে সহযোগিতা করেছে। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন দখল করার কোনো ইচ্ছে তার নেই।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “দোনবাস অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবেই।”

দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের নাগরিকদের কিয়েভের অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে রাশিয়া কাজ করে যাবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন। পুতিন বলেন, “ওই দুই অঞ্চলের অবস্থা বিগত বছরগুলোতে শোচনীয় হয়ে পড়েছিল এবং সেখানকার জনগণ কঠিন পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছিল।” গত আট বছর ধরে ইউক্রেনের সেনারা দোনবাস অঞ্চলে বোমা ও গুলিবর্ষণ করে আসছিল বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় রুশ ভাষাভাষি অধ্যুষিত দোনবাস অঞ্চলকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেন। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই অভিযানকে ‘পুতিনের ভূমি জবরদখল’ বলে উল্লেখ করেছে। এসব পশ্চিমা দেশ মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তরে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন মস্কোর একগুচ্ছ দাবি মেনে নিলে সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, সে কখনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে না।
সূত্র: পার্সটুডে
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি