ঢাকা, বুধবার   ০৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পুতিনের ফোনেই থমকে যায় রমজান কাদিরভের বাহিনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১১, ২২ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই রক্ষা পেয়েছে মারিউপোলের ইস্পাত কারখানা!

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহরটি দখলের পর সেখানকার বিশাল ইস্পাত কারখানাটি গুঁড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল রুশ বাহিনীর চেচেন যোদ্ধারা। 

কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেচেন নেতা রমজান কাদিরভকে ফোন করে সংযত হওয়ার নির্দেশ দেন।

তবে ইস্পাত কারখানাটি রক্ষা পেলেও সেখানে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেন সেনা এবং অসামরিক নাগরিকদের অনেককেই চেচেন যোদ্ধারা নির্মম ভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, জেনেভা সমঝোতা অমান্য করে রুশ বাহিনী মারিউপোলের অনেক অসামরিক বাসিন্দাকে বন্দি করে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও রুশ গোলাবর্ষণে ইস্পাত কারখানাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি।

মারিউপোল দখল হওয়ার ফলে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রাইমিয়া যাওয়ার পথ সুগম হল রাশিয়ার। এই বন্দর শহরটির দখল পেতে প্রায় দু’মাস চেষ্টা চালিয়েছে পুতিন-বাহিনী। শহরের দখল রাখতে চেয়ে বুধবার পর্যন্ত প্রাণপণ লড়েছে ইউক্রেনের সেনাও। 

রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শেষ এক সপ্তাহ ধরে ওই ইস্পাত কারখানাকে ঘাঁটি বানিয়েই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুগত সেনারা। সঙ্গে ছিলেন শহরের বাসিন্দাদের একাংশও।

মারিউপোল দখলের জন্য মরিয়া পুতিন সাহায্য নিয়েছিলেন ককেশাসের চেচেন নেতা কাদিরভের মিলিশিয়া বাহিনীর। অতীতে সিরিয়া এবং হালফিলে ইউক্রেনের বুচায় গণহত্যায় জড়িত ছিল চেচেন যোদ্ধারাই। শেষ পর্যন্ত সংখ্যা এবং সমর সম্ভারে অনেক এগিয়ে থাকা রুশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় মারিউপোলে মোতায়েন ইউক্রেন সেনা। 

প্রেসিডেন্ট পুতিন বৃহস্পতিবার মারিউপোলকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি