ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ত্রাণ জালিয়াতিতে চীনা নাগরিককে কারাদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৮, ২৪ এপ্রিল ২০২২

দুর্দশাগ্রস্ত ব্যবসা উদ্ধারের জন্য প্রতারণার মাধ্যমে কোভিড-১৯ ত্রাণ তহবিলের ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার চেষ্টার কথা স্বীকার করার পর চীনের এক নাগরিককে চার বছরেরও বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

চীনের ওই ব্যক্তির নাম মুগ মা। বৃহস্পতিবার কোভিড-এর সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ত্রাণ প্রদানের জন্য মার্কিন সরকার যে ঋণ চালু করেছিল, সেখান থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মা কে ৫২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন বিচার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘পে-চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম’ এবং ‘ইকোনমিক ইনজুরি ডিজাস্টার লোন’ প্রোগ্রাম থেকে উপলব্ধ ত্রাণের জন্য ঋণের আবেদনের ক্ষেত্রে, মুগ মা মার্কিন ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রশাসন এবং আরও ছয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে তার প্রতিষ্ঠান ‘নিউ ইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ক্যাপিটাল এলএলসি’ এবং ‘হার্লি হিউম্যান রিসোর্সেস এলএলসি’র বিষয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে।

মা বলেছে, তার শত শত কর্মচারী ছিল এবং সেই কর্মচারীদের তিনি লাখ লাখ ডলার মজুরি দিয়েছে। তবে আসল সত্যি হলো, মুগ মা তার কোম্পানির একমাত্র কর্মচারী ছিলেন। 

এদিকে, মা এর আগেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এবং পরিচয় বদল করে চুরির জন্য সাজা পেয়েছিলেন আর তাকে সাজা শুনিয়েছিলেন ইউএস ডিস্ট্রিক্ট’র একই বিচারক রিচার্ড এম বারম্যান, যিনি বৃহস্পতিবারও মুগ মা কে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

উল্লেখ্য মা ২০২০ সালের ২১ মে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন।

এদিকে, ইউএস অ্যাটর্নি ড্যামিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন: ‘কংগ্রেস কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন সমস্যায় থাকা ছোট ব্যবসাগুলোকে সাহায্য করার জন্য বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করার কয়েক দিনের মধ্যে, মুগে মা এটিকে লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ার একট সুযোগ হিসেবে দেখেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এই রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত যে এই অফিস এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী অংশীদাররা যারা মহামারীর সময় ত্রাণ জালিয়াতি করতে চেয়েছিল তাদের বিচার নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করবে।’

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি