ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগী জি-সেভেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩০, ১৩ মে ২০২২

যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে

যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা শুধু সামরিক তৎপরতা ও নিরাপত্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপরেও এই সংকটের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন সেই ধাক্কা সামলাতে উদ্যোগ নিতে চায়৷ সেই লক্ষ্যে শুক্রবার ও শনিবার জার্মানির উত্তরে ভাইসেনহাউস শহরে আলোচনায় বসছেন জি-সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷

ইউক্রেনের পর মলদোভার উপরেও রাশিয়ার হামলার আশঙ্কাও তাদের দুশ্চিন্তার কারণ৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না৷

জি-সেভেন গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি জার্মানি ছাড়াও ব্রিটেন, ক্যানাডা, ইটালি, ফ্রান্স, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে শনিবার পর্যন্ত আলোচনা করছেন৷

ইউক্রেন ও মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও শুক্রবারের অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন৷ ইউক্রেন সংকটের কারণে মলদোভায়ও শরণার্থীর ঢল নামায় দরিদ্র দেশ হিসেবে সে দেশের সরকার পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ মলদোভায় রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতার ফলেও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছে৷ এমন অবস্থায় ইউরোপ থেকে আরও সহায়তার আশা করছে সে দেশ৷

ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি ও সারের দাম অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে৷

বিশেষ করে আফ্রিকায় খাদ্য সংকট আরও গভীর হতে পারে বলে  জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে শস্য ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি কার্যত থমকে গেছে৷

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, শুধু ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরেই প্রায় আড়াই কোটি টন শস্য আটকে রয়েছে৷ তার মতে, গোটা বিশ্বে বিশেষ করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ মানুষের জন্য সেই শস্য সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি৷

ফলে দ্রুত গতিতে এবং দক্ষতার সঙ্গে এমন খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করতে চায় জি-সেভেন৷ জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুক্রবার বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন৷

নভেম্বরে সে দেশে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতির সম্ভাবনা নিয়েও কথা হবে৷

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তার পক্ষে সওয়াল করছেন৷ তার মতে, বিশেষ করে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে আরও দ্রুত ও আরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো উচিত, যা ন্যাটোর মানের হতে হবে৷ 

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি