ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

চাঁদের মাটিতে জন্মাল গাছ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ১৪ মে ২০২২

Ekushey Television Ltd.

চাঁদ থেকে আনা মাটিতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে গাছ জন্মিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। 

গবেষণাপত্রটি বৃহস্পতিবার (১২ মে) জীববিজ্ঞানবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী কমিউনিকেশনস বায়োলজিতে প্রকাশ করা হয়েছে। গত শতকে যুক্তরাষ্ট্রের চন্দ্রাভিযানের সময় ওই মাটি পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। 

নাসা জানিয়েছে, এই মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই। তারই মধ্যে জন্মেছে অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা নামের গাছটি। এদের জীবনীশক্তি খুব বেশি। অল্পেতে মরে না। গাছটিকে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। শর্ষের আত্মীয় বলা যেতে পারে এদের। ব্রকোলি, ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস জাতের গাছ এটি। গবেষণাগারে এই কাজটি করে দেখিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়।

সেখানকার অধ্যাপক রব ফেরল বলেন, ‘‘আগামী দিনগুলোতে মহাকাশে বড় পরিসরে অভিযান চালাবে মানুষ। এ সময় চাঁদকে মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ফলে অক্সিজেন ও খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সেখানে গাছপালা লাগানোর প্রয়োজন পড়তে পারে।’’

এমন চিন্তা থেকেই মাথায় আসে চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মানোর পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী কাজে নেমে পড়েন রব ফেরল। সঙ্গে ছিলেন আইএফএএসের আরেক অধ্যাপক অ্যানা লিসা পলসহ কয়েকজন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে সংরক্ষিত চাঁদের মাটি পেতে আবেদন করেন তারা। গত শতকে নাসার অ্যাপোলো ১১, ১২ ও ১৭ অভিযানের সময় চাঁদ থেকে ওই মাটি সংগ্রহ করা হয়।

চাঁদের মাটি পেতে গবেষকরা নাসার কাছে আবেদন করেছিলেন ১১ বছর আগে। অবশেষে বছর দেড়েক আগে মাটি দিতে রাজি হয় সংস্থাটি। তা-ও মাত্র ১২ গ্রাম মাটি পাঠানো হয়। অল্প এ মাটি নিয়েই কাজে লেগে পড়েন গবেষকেরা। তাতে মেশানো হয় পানি আর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। এরপর সেই মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয় ‘থ্যাল ক্রেস’ নামের একটি গাছের বীজ।  এ গবেষণা করার জন্য টিমের তরফে গত ১১ বছরে তিন বার আবেদন করা হয়েছে নাসার কাছে।

এত প্রচেষ্টার পরও চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন গবেষকেরা। তবে সব শঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে প্রায় সব কটি বীজ থেকে চারা বের হয়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে কৃষিকাজ সম্ভব। পৃথিবীর মতো অত কিছু হয়তো ফলানো যাবে না। কিন্তু গাছের জন্ম সম্ভব, সে নিয়ে নিশ্চিত তারা।

সূত্র: সিএনএন ও আনন্দবাজার।
এমএম/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি