ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পি কে হালদারের ৩ দিনের রিমান্ড চায় ইডি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৫, ১৫ মে ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হবে এবং ৩ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (১৫ মে) কলকাতা নগর দায়রা আদালত ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাদের তোলা হবে। 

বর্তমানে গ্রেফতারকৃতরা দেশটির অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে রয়েছেন।

ইডি সূত্র জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে অনলাইনে আদালতের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। তবে সশরীরে রোববার (১৫ মে) গ্রেফতার ছয়জনকে আদালতে তোলা হবে।

রোববার ভারতের বিশেষ আদালত ছাড়া বাকি সব আদালতে সাপ্তাহিক ছুটি। তাই আদালতের কাছে শনিবার রাতে অনলাইনে আগাম একটি আবেদন করে রেখেছে সংস্থাটি। সেখানে তিনদিনের রিমান্ড আবেদনও করা হয়েছে।

তবে ইডির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা সরকারিভাবে শনিবার (১৪ মে) রাত পর্যন্ত পি কে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিংও দেওয়া হয়নি।

শনিবার (১৪ মে) সকালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানো এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারসহ ছয়জনকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার অন্য পাঁচজন হলেন- উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।

এর আগে ভারতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পায় দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। কলকাতায় পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এ অর্থের সন্ধান মেলে।

শুক্রবার (১৩ মে) সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।

ইডি জানায়, প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।

সুকুমার মৃধার বাড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকার লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, তারা ইতোমধ্যে পি কে হালদারের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন। এসব নথিতে প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ২০ থেকে ২৫টির মতো বাড়ির মালিকানার তথ্য মিলেছে। এছাড়া অভিযানের সময় পি কে হালদারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থও জব্দ করা হয়েছে।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি