আরও ১০ দিনের রিমান্ডে পি কে হালদার
প্রকাশিত : ১৬:২৯, ১৭ মে ২০২২
প্রশান্ত কুমার হালদারসহ গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছে ভারতের আদালত।
শনিবার তিনি, তার স্ত্রীসহ মোট ছয় জনকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে ভারতের অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট।
বাংলাদেশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার পি কে হালদারসহ পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুনানির পর আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে তার স্ত্রীকে ১০ দিনের জন্য জুডিশিয়াল কাস্টডি বা বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অরিজিৎ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
ঢাকার একটি ব্যাংক ও অপর একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পলাতক ছিলেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করেছিলো। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের মধ্যে থাকা বন্দী সমর্পণ চুক্তির মাধ্যমে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ভারতেও অপরাধের অভিযোগ থাকায় সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে বলে তারা ধারণা করছেন।
বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা বা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রবিবার বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ফিনান্সিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশের সংস্থাগুলো কিন্তু তৎপর, সজাগ আছে। এজেন্সিগুলো কাজ করছে, আপনারা দেখবেন অচিরেই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।'’
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অবৈধভাবে ভারতের পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়েছেন। ভারতের আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর অপরাধ।
এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে ভারতে একটি মামলা দায়েরর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, 'তিনি যেখানে আছেন, সেখানে তিনি কি করেছেন, সেই দেশের আইনের মুখোমুখি হচ্ছেন। আমরাও তাকে ফেরত চাইবো আমাদের দেশের মামলাগুলোর জন্য।' সূত্র: বিবিসি
এসি
আরও পড়ুন