ন্যাটো সম্প্রসারণ:
সীমান্তে ১২টি সামরিক ইউনিট মোতায়েন করবে রাশিয়া
প্রকাশিত : ২২:১১, ২০ মে ২০২২
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু
ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রতিক্রিয়া হিসাবে বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়ার পশ্চিম অঞ্চলে ১২টি সামরিক ইউনিট মোতায়েন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
শুক্রবার মস্কোতে এক নিরাপত্তা সভায় ভাষণ দেয়ার সময় সের্গেই শোইগু বলেন, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে "ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকি"র প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পদক্ষেপটিকে "পর্যাপ্ত প্রতিকারের একটি প্রতিক্রিয়া"। তিনি বলেন, বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, "আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে। এইভাবে পশ্চিমা অঞ্চলগুলোতে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ কারণেই আমরা পর্যাপ্ত প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বছরের শেষ নাগাদ ১২টি সামরিক ইউনিট এবং সাব-ইউনিট গঠিত হবে।"
রাশিয়ার পশ্চিম সীমান্তের অন্যান্য হুমকির বিষয়ে শোয়গু ইউরোপে মার্কিন কৌশলগত বোমারু বিমানের ক্রমবর্ধমান ফ্লাইটের কথাও উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, গত আট বছরে এটা ১৫ গুণ বেড়েছে, যা প্রতি বছরে ২ থেকে ২৫টি পর্যন্ত বেড়েছে। পাশাপাশি বাল্টিক সাগরে ঘন ঘন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রসহ আমেরিকান জাহাজের পরিদর্শন তো রয়েছেই।
শোইগু বলেন, "একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো আমাদের সীমান্তে অপারেশনাল এবং যুদ্ধ প্রশিক্ষণের স্কেল বাড়াচ্ছে। যেমন- ইউরোপের ডিফেন্ডারের নামে বর্তমানে ৪০ হাজার সেনা সদস্যের অংশগ্রহণে একটি সিরিজ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যাদেরকে ব্লকটির ৩০টি দেশ থেকে নেয়া হচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, "এই কৌশলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপীয় মহাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লক তৈরীকরণ। সেইসাথে আর্কটিক, পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম -এই তিন কৌশলগত অঞ্চলে কয়েকটি সৈন্যদল মোতায়েন করা।"
ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে শোইগু বলেন, "লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের মুক্তি" আসন্ন। রাশিয়ান সেনাবাহিনী স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্রের সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথভাবে "ডোনেটস্ক গণপ্রজাতন্ত্র শাসিত অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রসারিত করেছে"।
তার মতে, মারিউপোল শহরের অবরুদ্ধ আজোভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে সমস্ত বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৯০৮ জনে দাঁড়িয়েছে, যারা পূর্বে প্ল্যান্টে আশ্রয় নিয়েছিল।
ইউক্রেনকে "অসামরিকীকরণ" এবং "নাজিমুক্ত" করার জন্য মস্কো তার পদক্ষেপকে "বিশেষ সামরিক অভিযান" বলে অভিহিত করেছে। তবে, পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য এটি একটি আগ্রাসন এবং তারা প্রতিক্রিয়া হিসাবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের দোনেস্ক এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে ডনবাস অঞ্চলের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সূত্র- আনাদোলু এজেন্সি।
এনএস//
আরও পড়ুন